এম কামরুজ্জামান,শ্যামনগর
সাতক্ষীরা’র শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের জাবাখালী গ্রামের দীর্ঘদিনের মৎস্য জবরদখল করায় শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।বুধবার ৬ নভেম্বর সকালে প্রেসক্লাব হল রুমে জাবাখালী গ্রামের মোঃ দাউদ গাজীর ছেলে মোঃ ইয়াছিন গাজী লিখিত সংবাদ সম্মেলন পাঠ করেন। লিখিত বক্তব্যে বলেন জাবাখালী মৌজায় ১৬৪ নংখতিয়ানে ১.২৪ একর জমির মৎস্য ঘের আছে। এই মৎস্য ঘের আমার পিতা পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ মৎস্য চাষাবাদের মাধ্যমে শান্তিপূর্ন ভাবে ভোগদখলীকার আসছি। উক্ত মৎস্য ঘের আমার চাচা মোঃ আঃ রশিদ সহ তাহার লোকজন জোর পূর্বক দখল করবে বলে বিভিন্ন ভয়-ভীতি হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। এবিষয়ে আমার পিতা বাদী হয়ে সাতক্ষীরা বিজ্ঞ শ্যামনগর সহকারী জজ আদালতে দেং- ১৯৭/২৪ নং মামলা করে। উক্ত মামলাটি বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন আছে।এলাকার ইউপি সদস্য গাজী আবিদ হাসান এবং বুডি গোয়ালিনী ইউনিয়ন জামায়েত ইসলামীর আমীর মাওলানা হারুনার রশিদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় আমার চাচা আঃ রশিদ ২রা নভেম্বর সন্ধ্যা আনুমানিক ৫ টার সময় আমার মৎস ঘেরের জমিতে জোর করে জমির আইল কেটে দিয়ে পানি ও মাছ বের করে দিয়ে। এবং আমরা আরেক চাচা আব্দুস সবুরের ঘেরের সঙ্গে একত্রিত করে নিয়েছে। যার ফলে আমার ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। শুধু তাই নয় স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন জামায়েতের আমীরের সহযোগিতায় আমাকে ঘের থেকে বিতাড়িত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন জামায়েতের আমীর প্রকাশ্যে বলে যে,কোর্ট কি কাজে লাগবে, আমরা কার্টের উপরে আমরা যে বিচার করব সেটাই মানতে হবে বলে আমার কাছ থেকে সাদা কাগজে জোর পূর্বক সহি স্বাক্ষর করে নিয়েছে। আমি একজন সহজ, সরল নিরীহ খেটে খাওয়া শ্রমিকবিধায় তাদের কার্যকলাপে বাধা দেওয়ার সাহস পায়নি। বর্তমানে আমি সহ আমার পরিবার আমার চাচার ভয়-ভীতির হুমকির কারনে চরম নিরাপত্তাহীনায় ভুগছি।আমি যে সংবাদ সম্মেলন করে বাড়ী ফিরে গেলে তারা যে কোন ধরনের দূর্ঘটনা ঘটাবে মর্মে আমি আশঙ্কা করছি।সে কারনে আপনাদের লিখুনির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করছি। এবিষয়ে ইউপি সদস্য গাজী আবিদ হাসানের মুঠো ফোনে জানানতে চাইলে তিনি বলেন, ইয়াছিন ও তার চাচা আব্দুর রশিদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি জায়গায় নিয়ে বিরত চলে আসছে। সাবেক এমপি আতাউল হক দোলনের সুপারিশে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ও পার্শ্ববর্তী ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শোকর আলীর মধ্যস্ত করার জন্য দাযি ত্ব দেন। গত ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনের পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজরুল ইসলামের নির্দেশে ইউনিয়ন জামাতের আমির সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে রংপুর থেকে আসার ইয়াসিনের চাচা রাশেদের সামনে রেখে আপস মীমাংসা স্বার্থে নগদ ৫০ হাজার টাকা লেনদেন দীর্ঘদিনের বিরোধ শেষ করা হয়। এবং ইয়াসিনদের সম্পত্তি বুঝিয়ে দেওয়া। কি কারনে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে আমি জানিনা।