নিজস্ব প্রতিবেদক
দেবহাটায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল কর্তৃক বহিষ্কৃত এক ছাত্রদল নেতাকে উপজেলা তাতীদলের সদস্য সচিব করায় বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টিকে নিয়ে দলের গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন ও বহিষ্কৃত একজন কিভাবে একই দলের অন্য একটি অঙ্গ সংগঠনের নেতৃত্ব দেয়া যায় এই প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে। এবিষয়টি উপজেলা বিএনপিসহ সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা জেলা তাতীদল, কেন্দ্রীয় তাতীদল ও বিএনপি নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। জানা গেছে, গত ইং ২৪/০৭/২৩ ইং তারিখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-দপ্তর সম্পাদক (যুগ্ম সাধারন সম্পাদক পদমর্যাদা) স্বাক্ষরিত এক পত্রে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সংগঠনের দায়িত্বশীল পদে আসীন থেকে সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপহ্নী কার্যকলাপে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সাতক্ষীরা জেলা শাখার সহ-সভাপতি আবির হোসেন লিয়ন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাসকিন আহমেদ শাওনসহ ৪জনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এমনকি ঐ চিঠিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারন ওই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন বলেও উল্লেখ করা হয়। কিন্তু সেই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা না হলেও গত ২০/১০/২৪ ইং তারিখে সাতক্ষীরা জেলা তাতীদলের আহ্বায়ক হাসান শাহরিয়া রিপন ও সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম বহিষ্কৃত আবির হোসেন লিয়নকে সদস্য সচিব করে দেবহাটা উপজেলা তাতীদলের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেন। এই বিষয়টি প্রকাশ হলে দেবহাটায় বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিতর্ক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। নেতাকর্মীরা জানান, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপহ্নী কাজের জন্য যাকে বহিষ্কার করা হলো সে কিভাবে আরেকটি অঙ্গ সংগঠনের সদস্য সচিব হয়। এ বিষয়ে দেবহাটা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইমরান ফরহাদ জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যেখানে দলের শৃঙ্খলা রাখার জন্য কঠিন নির্দেশনা দিচ্ছেন সেখানে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপহ্নী কাজে অভিযুক্তকে কিভাবে আরেকটি অঙ্গ সংগঠনের নেতৃত্ব দেয়া হয়। ফরহাদ জানান, বিষয়টি দলের হাইকমান্ডসহ নেতৃস্থানীয় সকলকে অবহিত করা হবে। এ বিষয়ে দেবহাটা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ সিরাজুল ইসলাম জানান, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপহ্নী কাজে অভিযুক্তকে কখনো আরেকটি অঙ্গ সংগঠনে নেয়া যায়না। তিনি উপজেলা বিএনপির এক নেতার নাম উল্লেখ করে জানান, তার ইন্ধনে জেলা তাতীদলের নেতৃবৃন্দ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিরাজুল ইসলাম বলেন, তিনি ঢাকায় ছিলেন তার মধ্যে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিষয়টি তিনি দেখছেন বলে জানান। উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ জানান, উপজেলার এক বিএনপি নেতা দলীয় স্বার্থের চেয়েও নিজের স্বার্থকে বড় করে দেখেন। যার কারণে তিনি ইন্ধন দিয়ে জেলা তাতীদলের নেতৃবৃন্দকে প্রভাব খাটিয়ে এমন কাজ করিয়েছেন। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নেতাকর্মীরা দলীয় হাইকমান্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।