মুস্তাকিম সাকিবঃ একজন স্বেচ্ছাসেবক কাকে বলে তাদের কাজ কি এমন অনেক প্রশ্ন সমাজের অনেকের কাছে সমাদৃত। একজন স্বেচ্ছাসেবকের কাজ হলো স্বেচ্ছায়শ্রম দিয়ে মানবসেবায় বলিয়ান থাকা। পৃথিবীব্যপী লাখ লাখ স্বেচ্ছাসেবক বিনামূল্যে শ্রম দিয়ে চলেছেন। ইাতিহাসের পাতায়ও লিখিত আছে স্বেচ্ছাসেবকদের অমূল্যকাজ ১৯৯১সালের জুলাইয়ে বিশ্বের
স্বেচ্ছাসেবকেরা উইমেনস ইমার্জেন্সি কর্পস এর মাধ্যমে ইনফুয়েজ্ঞা মহামারি মোকাবেলায় জন্য কুইন্সল্যন্ডের ইথাকা এসে হাজার হাজার মানুষের প্রাণ রা করেছিলো এটাই থেমে থাকেনি স্বেচ্ছাসেবকদের কাজ। ২০১২ সালের হারিকেন ঝড়ের পরে কিন্তু বিনা ডাকেই নেমে এসেছিলো রাস্তায় কারণ তারা জানতো তাদের কাজ হলো মানবসেবা কেনো তারা পিছিয়ে থাকবে এ কাজে। স্বেচ্ছাসেবী কাজ বলতে সাধারণত স্বার্থহীন কাজকে বোঝায় যা একজন ব্যক্তি বা গোষ্ঠি কোনো আর্থিক বা সামাজিক লোভের জন্য কাজ করে না,স্বেচ্ছাসেবী কাজ দতা প্রচার অথবা মানুষের জীবনমান উন্নতকরার উদ্দেশ্যে করা হয়।আমরা সকলেই জানি সমগ্র পৃথিবী আজ থমকে গেছে করোনা নামক এমন এক ভাইরাসের কারণে যাকে দেখা যায় না,শোনা যাই না ছোয়া যাই না কিন্তু তার শক্তি কতোটা হয়তো আমরা হারে হারে টের পাচ্ছি। পুরো পৃথিবীর মত আমাদের প্রণের
দেশ বাংলাদেশ আজআক্রান্ত হয়েছে করোনা নামক মহামারি তে। সরকার চাচ্ছে সাধারণ মানুষ যেন ঘরে থাকে কারণ এই ভাইরাসের কোন প্রতিষেধক এখন পর্যন্ত পৃথিবী তৈরি করতে পারিনি এর মূল ঔষধ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ।আমাদের দেশের নাগরিকের তুলনায় প্রশাসনের লোকবল অনেক কম যার কারণে হিমশিম খেতে হচ্ছিলো সামাজিক দূরত্বনিশ্চিতে। এমন সময় মনিরামপুর উপজেলার কিছূ অকুতভয় স্বেচ্ছাসেবকেরা যারা বর্তমান স্কুল,কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া ছাত্রছাত্রী হাতমেলান প্রশাসনের সাথে যুদ্ধঘোষণা করেছেন করোনা নামক মহামারির বিরুদ্ধে। নিশ্চিত মৃত্যু যেনেও ঝাপিয়ে পড়েছেন যুদ্ধে,যে যুদ্ধে দেখা যায় না শত্র“কে এমন যুদ্ধে জয়ী হওয়াটা কিন্তু অনেক টা বড় ব্যপার তবে এটা না ভয় না করে ঝাপিয়ে পড়েছেন যুদ্ধে।
মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মর্কতা আহসান উল্লাহ শরিফী সাহেবের নেতৃত্বে মণিরামপুরের ১৭ টা ইউনিয়ন ১ টি পৌরসভায় তৈরি করা হয়েছে শক্তিশালি স্বেচ্ছসেবক টিম যাদের কাজ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, সচেতনা সৃষ্টি, করেনটাইন নিশ্চিত ও তাদের দেখভার করা , বিদেশ বা করোনা আক্রান্ত কোন মানুষ যেন লকডাউন কৃত এলাকায় প্রবেশ না করে এটা নিশ্চিত করা তাদের কাজে সর্বোণিক সহযোগীতা করবেন প্রশাসন। বর্তমানে এ স্বেচ্ছাসেবক টিমের উপজেলা মেন্টর হিসাবে আল হেলাল মানুন ও আব্দুল্লাহ হাসিব ও
পৌর মেন্টর হিসাবে দায়িত্বপালন করছেন আক্তরুজ্জমান সুমন তার নেতৃত্বে পৌরসভার ৯ টি ওয়ার্ডে ৯০ জন স্বেচ্ছসেবক অবিরাম কাজ করে চলেছেন। তাদের প্রধান দায়িত্ব সামজিক দূরত্ব নিশ্চিত সহ মানুষ কে করোনা বিষয়ে সচেতন করা। তদের এ কাজ কে সাধবাদ জানিয়েছেন অনেকে ,মনিরামপুরের একজন সাংস্কৃতিক কর্মী রাশেদ রেজা প্রতিনিনের কণ্ঠ কে জানান, আমি কিছুদিন যাবত স্বেচ্ছাসেবকদের এ কাজের উপর খোয়াল করছি এবং তাদের কাজ কে আমি অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি কারণ তারা নিজেরা সচেতন এবং মানুষ কে স্বেচ্ছায় সেচতনার বাণি পৌচ্ছে দিচ্ছেন এবং তিনি জানান নিজেদের প্রতি ও সজাগদৃষ্টি রাখতে হবে যাতে কোন স্বেচ্ছাসেবক এ ভাইরাসে আক্রন্ত না হয়। পৌরসভার মেন্টর আক্তরুজ্জমান সুমন জানান, বাংলাদেশের মানুষ অনেক অসচেতন যার কারণে এ মহামারিতে আমরা অনেক তিগ্রস্থ হতে পারি তাই আগে থেকে আমরা যেন সচেতন হতে পারি সে দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।
যেহেতু মনিারামপুরে একজন স্বস্থ্য কর্মীর করোনা পজেটিভ এসেছে সেহেতু আমরা সামজিদ দূরত্বটাকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছি এবং মানুষের কাছে বোঝানোর চেষ্টাকরছি যে যেন অতি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে যেন বের না হয়। স্বেচ্ছাসেবকদের বিষয়ে সার্বিক দিক দেখাশোনা করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।