মনিরামপুর(যশোর) : মনিরামপুরের পল্লীতে মঙ্গলবার সকালে আসমা খাতুন নামে এক স্কুল শিক্ষিকার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধারের পর ময়না তদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করে। নিহত স্কুল শিক্ষিকা আসমা খাতুন উপজেলা দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়নের নারিকেলবাড়ীয়া গ্রামের ঘের ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলামের স্ত্রী। আসমা খাতুন নারিকেলবাড়ীয়া বেসরকারি রেজিষ্ট্রার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ছিলেন।
নিহত আসমা খাতুনের স্বামী রফিকুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে স্ত্রীর দেয়া ভাত খেয়ে তিনি বাড়ি থেকে মৎস্যখামারে যান। সকাল নয়টার দিকে তিনি খবর পান তার স্ত্রী ঘরের আড়ারসাথে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। রফিকুলের দাবি তার স্ত্রীর ব্রেনের সমস্যা ছিল। তবে এলাকার নির্ভরযোগ্য একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, রফিকুলের সাথে এলাকার এক গৃহবধুর পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। এ বিষয়টি জানাজানি হবার পর রফিকুলের সাথে তার স্ত্রীর মনোমালিন্য হয়। এরই সূত্র ধরে রফিকুলের স্ত্রী আসমা খাতুন অভিমান করে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে।
নেহালপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সৈয়দ বখতিয়ার হোসেন জানান, সাত বছর বয়সী এক পুত্র সন্তানের জননী আসমা খাতুনের মৃত্যু নিয়ে এলাকা থেকে অনেক কথায় কানে আসছে। ফলে লাশ উদ্ধারের পর ময়না তদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। ওসি(তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান জানান, এ ঘটনায় আপাতত একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে। লাশের ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।