কণ্ঠ ডেস্ক
উত্তর কোরিয়ার দিকে টার্গেট করা শক্তিশালী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও অন্যান্য অস্ত্র প্রদর্শন করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। গতকাল মঙ্গলবার সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে অস্ত্র প্রদর্শন করার পাশাপাশি দেশটির প্রেসিডেন্ট সতর্ক করে বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার শাসকগোষ্ঠী পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করলে তাদের ধ্বংস অনিবার্য। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে। সিউলের নিকটবর্তী সামরিক বিমানবন্দরে উপস্থিত হাজারো সেনাসদস্যদের উদ্দেশে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়েওল বলেছেন, ‘উত্তর কোরিয়া যদি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের চেষ্টা করে, তাহলে তারা আমাদের বাহিনীর পূর্ণ শক্তির জবাব পাবে। আমাদের সঙ্গে থাকবে (দক্ষিণ কোরিয়া ও) যুক্তরাষ্ট্র জোটের সামরিক সমর্থন। সেদিন উত্তর কোরিয়ার শাসকগোষ্ঠীর চ‚ড়ান্ত পরিসমাপ্তি হবে।’ দুই দেশের চলমান বিদ্বেষের আগুনে ঘি ঢালতেই যেন নিজেদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ অবকাঠামোর তথ্য প্রকাশ করে পিয়ং ইয়ং। আসন্ন মার্কিন নির্বাচনের আগে পরীক্ষামূলক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের মতো আগ্রাসী পদক্ষেপও নিয়েছে কিম জং উনের দেশ। এর জবাবেই অস্ত্র প্রদর্শন করে সতর্কবার্তা দিলো সিউল। তিনি আরও বলেছেন, ‘পিয়ং ইয়ং-এর এই ভ্রম থেকে বেরিয়ে আসা উচিত যে পারমাণবিক অস্ত্র তাদের রক্ষা করবে।’ অনুষ্ঠানে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী প্রায় ৩শ’ ৪০টি সামরিক সরঞ্জাম প্রদর্শন করেছে। এরমধ্যে ছিল তাদের সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হিউনমুউ ফাইভ। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, এই ক্ষেপণাস্ত্র ভ‚মির অত্যন্ত গভীরে প্রবেশের ক্ষমতা রাখে। অর্থাৎ উত্তর কোরিয়ার ভ‚গর্ভস্থ বাঙ্কারগুলোও আর নিরাপদ নয়। সিউল প্রথমবারের মতো এই অস্ত্রের অস্তিত্বের জানান দিলো। অনুষ্ঠানের সময় মার্কিন বাহিনী দূরপাল্লার বি-ওয়ান বি বোমারু বিমান উড়িয়েছে।
এরমধ্যে দিয়ে তাদের এশীয় মিত্রের নিরাপত্তায় নিজেদের অঙ্গীকারের দৃঢ়তা প্রদর্শন করলো ওয়াশিংটন। ২০২২ সালে রক্ষণশীল রাজনীতিবিদ প্রেসিডেন্ট ইয়ুন ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক জোরদার করে চলেছে দক্ষিণ কোরিয়া। এ ছাড়া সিউল-ওয়াশিংটন-টোকিও ত্রিপাক্ষিক সামরিক সহযোগিতা দৃঢ় করা হয়েছে। এদিকে, সা¤প্রতিক বছরগুলিতে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার মাধ্যমে আঞ্চলিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলছে উত্তর কোরিয়া।