কণ্ঠ ডেস্ক
থাইল্যান্ডের ডিজিটাল অবকাঠামোয় ১০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে টেক জায়ান্ট গুগল। এই বিনিয়োগের আওতায় একটি নতুন ডেটা সেন্টার স্থাপন করা হবে, যা থাইল্যান্ডসহ পুরো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ক্লাউড কম্পিউটিং সেবার ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাবে।
গুগলের এই উদ্যোগে ২০২৫ থেকে ২০২৯ সালের মধ্যে প্রায় ১৪ হাজার নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। নতুন এই বিনিয়োগ হবে ব্যাংকক ও চনবুরি কেন্দ্রিক। ব্যাংককে থাকবে ক্লাউড অবকাঠামো এবং চনবুরিতে গড়ে তোলা হবে ডেটা সেন্টার। চনবুরি থাইল্যান্ডের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্পাঞ্চল। গুগলের প্রেসিডেন্ট এবং চিফ ইনভেস্টমেন্ট অফিসার রুথ পোরাট জানান, এই বিনিয়োগ থাই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, উদ্ভাবক এবং সমাজকে ক্লাউড ও এআই প্রযুক্তির শক্তি কাজে লাগাতে সক্ষম করবে। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পায়েতংতার্ন শিনাওয়াত্রার সঙ্গে গুগল কর্তৃপক্ষের সা¤প্রতিক বৈঠকের পর বিপুল এই বিনিয়োগের ঘোষণা দেওয়া হলো। এই ঘটনাকে থাইল্যান্ডের একটি বড় ডিজিটাল হাব হিসেবে আবির্ভাবের প্রমাণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন থাই প্রধানমন্ত্রী। গুগলের এই উদ্যোগের ফলে ২০২৯ সালের মধ্যে থাইল্যান্ডের জিডিপিতে প্রায় ৪০০ কোটি ডলার যোগ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগেও থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শিনাওয়াত্রার পূর্বসূরি ¯্রত্থো থাভিসিন মার্কিন টেক জায়ান্টগুলোর কাছ থেকে বিনিয়োগ আনার উদ্দেশ্যে নিউইয়র্ক সফরে গুগল, মাইক্রোসফট ও টেসলার সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। থাইল্যান্ডের প্রযুক্তি খাত এখনো সিঙ্গাপুর এবং ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশগুলোর তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে। দেশটি কৃষি, উৎপাদন এবং পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল অর্থনীতিকে আরও বৈচিত্র্যময় ও আধুনিক করার লক্ষ্যে এ ধরনের বিনিয়োগকে স্বাগত জানিয়েছে। থাইল্যান্ডের ন্যাশনাল ডিজিটাল ইকোনমি ও সোসাইটি কমিশন জানিয়েছে, ২০২৭ সালের মধ্যে ডিজিটাল অর্থনীতি দেশটির মোট জিডিপিতে ৩০ শতাংশ অবদান রাখতে পারে। গুগলের পাশাপাশি মাইক্রোসফটও থাইল্যান্ডে প্রথম ডেটা সেন্টার গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছে। পুরো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া জুড়েই মার্কিন প্রযুক্তি বিনিয়োগের জন্য দেশগুলো প্রতিযোগিতায় নেমেছে। সূত্র: এএফপি