স্টাফ রিপোর্টারঃযশোরের বেনাপোলে একই পরিবারের দুই বোন জ্বরে আক্রান্তের পর তাদের মধ্যে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। গোপনে তাকে দাফন করা হয়েছে। তবে ওই শিশুটি করোনায় পজেটিভ ছিল কি না তা জানা যায়নি। তবে এলাকায় করোনার আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।
শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) রাতে বেনাপোলের বড়আঁচড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেনাপোল পৌরশহরের বড়আঁচড়া গ্রামে দুই বোনের জ্বর হয়। শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) রাতে বড় মেয়ের জ্বরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং সাথে পাতলা পায়খানা শুরু হয়। ওই রাতে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। শনিবার সকালে খুব গোপনে শিশুটি গ্রামের বাড়ি যশোরের মণিরামপুর উপজেলার পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।
শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার ইউসুফ আলী রবিবার মণিরামপুর নিহত শিশুর গ্রামের বাড়ি থেকে পরিবারের অন্যান্য সদস্যেদের নমুনা সংগ্রহ করে টেস্টের জন্য পাঠানো হবে জানিয়ে বলেন, ওই পরিবারের পক্ষ থেকে জ্বরে আক্রান্ত হওয়া দুই মেয়ের সর্দি কাশি হলেও ভয়ে বিষয়টি কাউকে জানাননি। স্থানীয় ডাক্তারের কাছ থেকে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল বলে জানা যায়। শুক্রবার রাতে বড় মেয়েটা (১১) বারবার বমি ও পাতলা পায়খানা করছিল। তার অবস্থার অবনতি হলে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথেই শিশুটির মৃত্যু হয়।
এই বিষয়ে শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মন্ডল বলেন, বিষয়টি শোনা মাত্র তার বাড়িটিকে লকডাউন করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের বাড়িতেই অবস্থান করতে বলা হয়েছে এবং স্বাস্থ্য বিভাগকে ওই শিশুর পরিবারের সদস্যদের নমুনা সংগ্রহের কথা বলা হয়েছে।