কন্ঠ ডেস্ক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দুজনকে এবং খাগড়াছড়িতে এক শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার নিন্দা জানিয়ে বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও নৈরাজ্য বন্ধের আহŸান জানিয়েছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। দ্রæত বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত হত্যাকাÐের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে দলটি। গতকাল শনিবার ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য কামরূল আহসানের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহŸান জানানো হয়। গতকাল শনিবার দলটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিকের সভাপতিত্বে পলিটব্যুরো সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং সেখান থেকে বিবৃতি দেওয়া হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তোফাজ্জল হত্যাকাÐকে ইস্যু করে হঠাৎ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি বন্ধের ঘোষণাকে মাথাব্যথা হলে মাথা কেটে ফেলার নীতিকে প্রত্যাখ্যান করে পলিটব্যুরো বলেছে, ছাত্র রাজনীতি বন্ধের নামে আরেকটি বিরাজনৈতিক রাজনীতি প্রতিষ্ঠায় নতুন স্বৈরাচারের পথকে সুগম করবে। সুবিবেচনা সেটিই হবে যে রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তির ছাত্র রাজনীতি বন্ধ রেখে ছাত্র কল্যাণের ছাত্র রাজনীতিকে জায়গা করে দিতে হবে। এতে বলা হয়েছে, খাগড়াছড়িতে হঠাৎ করে সংঘাত সৃষ্টি করে পাহাড় জনগণের ওপর গুলিবর্ষণের এবং হত্যাকাÐের তীব্র নিন্দা জানানো হয়। দ্রæত পাহাড়ি জনগণের দাবি মেনে নিয়ে ওই অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনার দাবি করা হয়। গত কয়েকদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে মসজিদে খুতবা দিয়ে মাইকে ঘোষণা দিয়ে মাজার ভাঙার যে সংস্কৃতি চালু হয়েছে, তা ভ্রাতৃঘাতিক সংঘাত সৃষ্টি করবে বলে মনে করে ওয়ার্কার্স পার্টি। দলটির নীতি নির্ধারকরা বলছেন, ইতোমধ্যে অনেকেই এই সংঘাতের শিকার হয়ে আহত হয়েছেন। পীর, ফকির, দরবেশ, আউলিয়ার মাজার বিশ্বাসী মানুষ, বিভিন্ন তরিকায় বিশ্বাসী মানুষদের ওপর আক্রমণ সমাজে কোনোভাবেই স্থিতিশীলতা আনবে না। দ্রæত মাজার ভাঙার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের দাবি জানানো হয় এবং মাজার ভাঙার নিন্দা জানানো হয়। এতে আরও উল্লেখ করা হয়, দেশের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, একাত্তরের রণাঙ্গণের অন্যতম সৈনিক, সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম মাঈনুদ্দিন খান বাদলের কবরে আগুন দেওয়া এবং ভেঙে ফেলে বিশেষ মতাদর্শের দুর্বৃত্তরা যে নজিরবিহীন কান্ড ঘটিয়েছে। এর নেতিবাচক ফলাফল হবে সুদূর প্রসারী। চট্টগ্রামে সংঘটিত এই ঘৃণীত ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দুবৃর্ত্তদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।