যশোর জেনারেল হাসপাতালে পুলিশের বিশেষ শাখার এক কনস্টেবলের কান্ডে হতভাগ হয়েছেন হাসপাতাল প্রশাসন। শনিবার দুপুরে শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেহা (১২) নামে এক শিশু আসে চিকিৎসা নিতে। এ সময় জরুরি বিভাগের ডাক্তার দেলোয়ার হোসেন রোগীকে দেখে হাসপাতালের মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে পাঠান। কিন্তু কনস্টেবল আল-মামুন ওয়ার্ডে যেয়ে জোর পূর্বক নেহাকে করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে নিয়ে রেখে আসেন।হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, কনস্টেবল আল-মামুনের মা মনোয়ারা পারভীনকে (৪৫) ১৬ এপ্রিল দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন দুপুরে শ্বাসকষ্টজজনিত রোগে আক্রান্ত নেহা নামে এক শিশুকে ভর্তি করে তাকেও একই ওয়ার্ডে রাখা হয়। কিছু সময় পর আল-মামুন সেখানে গিয়ে ডাক্তার ও সেবিকাদের গালিগালাজ, হুমকি-ধামকি দিতে থাকেন। তার দাবি, মেয়েটি করোনা রোগী, এই ওয়ার্ডে তার মা রয়েছেন এতে করে তিনিও সংক্রমিত হতে পারেন।জরুরি বিভাগের ডাক্তার দেলোয়ার হোসেন জানান, শিশুটির ভর্তির সময় তিনি জরুরি বিভাগে দায়িত্ব পালন করছিলেন। মেয়েটি অ্যাজমা রোগী এজন্য তাকে মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু পুলিশ সদস্য আল-আমিন তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন মেডিসিন ওয়ার্ডে রোগী পাঠানোর জন্য। ওয়ার্ড থেকে এক ইন্টার্ন ডাক্তারকে দিয়ে জোর পূর্বক রোগীকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রেফার করা হয়েছে।হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আরিফ আহমেদ জানান, করোনা আক্রান্ত নয়, এমন রোগীকে কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের সংস্পর্শে রাখা হলে সে ক্ষতিগ্রস্ত এমনকী তার জীবনাশঙ্কা দেখা দিতে পারে। মেয়েটি করোনা আক্রান্ত কিনা তা ডাক্তারই ভালো বুঝবেন, পুলিশ বা অন্য পেশার লোক নন। এমন কাজ করলে ডাক্তারদের মনোবল নষ্ট হবে।জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক (ইনচার্জ) মসিউর রহমান জানান, ‘বিষয়টি জানার পর সেখানে একটি টিম পাঠানো হয়েছে। আল-মামুন ঢাকা এসবিতে কর্মরত। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ লিখিত আকারে ঢাকাতে পাঠানো হবে।