দেলোয়ার হোসেন,কলারোয়া সাতক্ষীরা থেকে
কথিত শেখ হাসিনার গাড়ি বহর হামলা মামলার নামে সাতক্ষীরার-১আসনের সাবেক এমপি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ বিএনপি,যুবদল ও ছাত্রদলের প্রায় ৫০ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়ার প্রতিবাদে ও সকল আসামিদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে।উপজেলা বিএনপির আয়োজনে রবিবার(১৮আগস্ট)দুপুর ১২টায় উপজেলা পোষ্টঅফিস মোড়ে অনুষ্ঠিত কর্মসুচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন,জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক ও সাবেক সাধারন সম্পাদক শেখ তারিকুল হাসান।উপজেলার বিএনপি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রশিদ মিয়ার সভপিতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন,সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আবুল হাসান হাদী, পৌর বিএনপির আহবায়ক মাসুম বিল্লাহ শাহীন,জেলা যুবদলের প্রধান সমন্বয়ক আইনুল ইসলাম নান্টা, জেলা কৃষক দলের সাবেক আহবায়ক আহসানুল কাদির স্বপন,কলারোয় পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ কামরুল হোসেন,সাধারন সম্পাদক শেখ শরিফুজ্জামান তুহিন,উপজেলা বিএনপির যুগ্ন সম্পাদক সাবেক অধ্যক্ষ আবু বকর সিদ্দিকী, সহ-সাধারন সম্পাদক সাবেক চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম,শওকাত হোসেন,যুবদল নেতা সবুজ,পলাশ, পারভেজ,আবু জাফর,মোজাফ্ফর ছাত্রদল নেতা সোহেল,রাসেল, প্রিন্স,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মোশারফ,কারিম,সিরাজ প্রমুখ।উপজেলা বিএনপির কর্মসুচি থেকে ৫ দফা দাবী তুলে ধরেন,উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির সহসাধারন সম্পাদক শেখ আব্দুল কাদের বাচ্চু।৫দফা দাবির মধ্যে আছে-বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ কারাবন্দী ও বিএনপি নেতৃবৃন্দের নামে দায়ের করা সকল রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার,২০১৫ সালের ১৪জুলাই ২৭ রমজান রাতে কলারোয়া সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি ও ডাবল মার্ডার ঘটনায় সম্পৃক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও আইনের আওতায় আনতে হবে, শেখ হাসিনার গাড়িবহর হামলা মামলায় ১২বছর পর অস্ত্র মামলার আলামত যাদের কাছ থেকে জব্দ দেখানো হয়েছিলো তাদের গ্রেফতার কারণ অস্ত্র আইনে পজিশন এন্ড কন্ট্রোল যাদের কাছে তারাই আসামি,বিএনপির মিছিলে বোমা হামলার জন্য তৎকালীন উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে বোমা তৈরির সময় বোমা বিস্ফোরিত হয়ে নিহত হয় আ.লীগ নেতা শুকর আলী আর আহত বোম তৈরির কারিগর আলিম,আনছার ডাকাত ও নওফেলদের গ্রেফতার করে ঘটনার সাথে সম্পৃক্তদের আইনের আওতায় আনতে হবে,শেখ হাসিনার গাড়িবহর হামলা মামলায় মিথ্যা স্বাক্ষী দিয়ে যারা বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক এমপি হাবিবসহ উপজেলা ও পৌর বিএনপির প্রায় ৫০জনকে সাজা দিয়ে কারারুদ্ধ করে রেখেছে সেইসব ব্যক্তিদের যারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দায়িত্বে আছে তাদের পদত্যাগ করতে হবে,যেমন- উপজেলা পরিষদ,পৌরসভা,গার্লস পাইলট হাইস্কুল, কয়লা হাইস্কুল,বেগম খালেদা জিয়া মহাবিদ্যালয়, কলারোয়া পাইলট হাইস্কুল,মুরারীকাটি হাইস্কুল ও ধানদিয়া ইউনিয়ন ইন্সটিটিউশন।প্রধান অতিথি বিএনপি নেতা তারিকুল হাসান এ সময় বলেন,শেখ হাসিনার গাড়ীবহর হামলার মিথ্যা মামলায় ফরমেয়শী রায়ে ৭০ বছরের কারাভোগ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক সাংসদ হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৪৭ জন নেতা-কর্মী কারান্তরীন রয়েছেন।ইতিমধ্যে চার জন নেতা-কর্মী কারান্তরীন অবস্থায় মৃত্যু বরন করেছেন।তাদেরকে জেলঅখানায় শারিরীক নির্যাতনে বিনাচিকিৎসায় মৃত্যু বরন করেছেন। তিনি এই হত্যার পিছনে জেল র্কৃপক্ষকে দায়ী করেছেন।তিনি আরো বলেন,যে ৫দফা কর্মসুচি ঘোষনা করেছেন অবিলম্বে তা বাস্তবায়নের প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন।উক্ত সমাবেশে সঞ্চালনা করেন উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব ও সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক কেএম আশরাফুজ্জামান পলাশ ও ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব ও যুগ্ম আহবায়ক প্রভাষক সালাউদ্দীন পারভেজ।