কণ্ঠ ডেস্ক
আগামীকাল থেকে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় (যবিপ্রবি) ও আবাসিক হলসমূহ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে প্রোভস্টবৃন্দ ও প্রক্টরকে সর্বদা সচেষ্ট থাকার জন্য রিজেন্ট বোর্ডের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়।আজ শনিবার দুপুরে যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে যবিপ্রবির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের ১০৩তম জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। রিজেন্ট বোর্ডের সকল সদস্য ভার্চুয়ালি অংশ নেন।এর আগে ১০.০৮.২০২৪ খ্রি. বেলা ১১ টাই যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ, অনুষদীয় ডিনবৃন্দ, প্রভোস্টবৃন্দ, প্রক্টর এবং পরিচালক (ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তর) এর সমন্বয়ে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বিশ^বিদ্যালয়ের পরবর্তী করণীয় নির্ধারণার্থে উপাচার্য মহোদয়ের সভাপতিত্বে অনলাইনে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভার সুপারিশ পর্যালোচনা করে এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
রিজেন্ট সভার প্রারম্ভেই সর্বসম্মতিক্রমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যে সকল শিক্ষার্থী শহিদ হয়েছেন তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে। এখনও পর্যন্ত যারা আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন তাদের আশু কামনা করা হয়। ৫ আগস্ট ২০২৪ এর অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তবর্তীকালীন সরকারকে অভিনন্দন জ্ঞাপন করা হয়। একই সাথে চলমান পরিস্থিতিতে এ বিশ^বিদ্যালয়ের বহিরাগত দুষ্কৃতিকারীদের হামলা প্রতিহত করে বিশ^বিদ্যালয়কে সুরক্ষিত রাখার জন্য এ বিশ^বিদ্যালয় থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী শিক্ষার্থীবৃন্দসহ সকল শিক্ষার্থীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয়।
রিজেন্ট বোর্ডের সভায়, অনুষদীয় ডিনবৃন্দের সিদ্ধান্তক্রমে শ্রেণি কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বিশ^বিদ্যালয় খুলে দেয়ার পর শিক্ষার্থীদেরকে এর ধারা ২ এবং কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে “যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় আইন-২০০১” এর ধারা ৪৭ (৫) এবং “সাধারণ আচরণ, শৃঙ্খলা ও আপীল সংক্রান্ত বিধি” এর বিধি-৩ এর (জ) (“কোনো শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী রাজনৈতিক মতামত প্রচার করিতে পারিবেন না বা তিনি নিজেকে কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সহিত জড়িত করিতে পারিবেন না।”) অনুসরণ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ^বিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) খালেদা আক্তার, যুগ্ম সচিব ড. মোর্শেদা আক্তার, যশোরের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. কাওছার উদ্দিন আহম্মদ, আইসিসিডিআর’বি-এর বায়োসেফটি অ্যান্ড বিএসএল-৩ ল্যাবরেটরির প্রধান ড. আসাদুলগনি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. কৌশিক সাহা, ইউজিসি অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. এম. এ. রশীদ, যবিপ্রবির অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদ, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস (এআইএস) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মেহেদী হাসান, সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মাহবুবুল হক খান, রিজেন্ট বোর্ডের সচিব ও রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব প্রমুখ।