মনিরুজ্জামান মিল্টন
যশোরের অভয়নগর উপজেলার লাইসেন্স বিহীন এল,বি হাসপাতাল অ্যানেস্থেশিয়া(অজ্ঞান করছেন) দিচ্ছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা মো: ওহিদুজ্জামান। নওয়াপাড়া বাজারে এল বি টাওয়ারের চার তলায় অবস্থিত এই বেসরকারি হাসপাতালটি । সরকার বেসরকারি হাসপাতালের পরিচালোনার ক্ষেত্রে নিয়মনীতি থাকলেও তার কোনটির তোয়াক্কা করেন না এল বি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এল বি হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের যারাই ব্যবস্থা নিবেন তারাই এখন রয়েছেন এর সাথে জড়িত।দীর্ঘ সাত বছর লাইসেন্স বিহীন ভাবে চলছে এই হাসপাতাল।
সরকারি নীতিমালায় বলা রয়েছে, লাইসেন্স এর প্রকারভেদ ও শয্যা সংখা অনুযায়ী সবশর্ত বাস্তবায়ন করতে হবে। অতিরিক্ত বেড রাখা যাবে না, হাসপাতালে নিয়জিত সব চিকিৎসকের পেশাগত ডিগ্রি সনদ,বিএমডিসির হালনাগাদ নিবন্ধন ও নিয়োগ পত্রের কপি মুল ফটোকে রাখতে হবে,সরকার নিধারিত রেটচাট থাকাতে হবে। হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিয়ম মেনে চালানোর কথা থাকলেও কোনটি মানেন না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও রোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার সহ নানান অভিযোগ রয়েছে এই হাসপাতালের বিরুদ্ধে।
তথ্য অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা যায়, অভয়নগর উপজেলার প্রাণ কেন্দ্রে নওয়াপাড়া পৌরসভা। নওয়াপাড়া পৌর সভাকে ঘিরে এখানে বছরে কয়েক কোটি টাকার বাণিজ্য হয়ে থাকে । আর নওয়াপাড়া বাজারের ঠিক মধ্য খানেই রয়েছে এল বি টাওয়ার। এল,বি টাওয়ারের চার তলায় অবস্থিত এই এল বি হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি। এখানে রিতীমতন রোগীদের রয়েছে উপচেপড়া ভিড় এই সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে রোগীদের কে জীম্মি করে মেতে উঠেছে অবৈধ অর্থ উপার্জনে এল বি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। মানুষের কাছে থেকে প্রতারণা মাধ্যমে সেবার নামে লুটে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা । লাইসেন্স এর প্রকারভেদ ও শয্যা সংখা অনুযায়ী সবশর্ত বাস্তবায়ন করতে হবে। অতিরিক্ত বেড রাখা যাবে না, হাসপাতালে নিয়জিত সব চিকিৎসকের পেশাগত ডিগ্রি সনদ,বিএমডিসির হালনাগাদ নিবন্ধন ও নিয়োগ পত্রের কপি মুল ফটোকে রাখতে হবে,সরকার নিধারিত রেটর্চাট থাকাতে হবে এসকল নীতিমালার কোনটির মি নেই এল বি হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ক্ষেত্রে । এছাড়া সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্তেও¡ তাদের হ্যান্ডবিলে রয়েছে ডাক্তাদের চটকদার বিজ্ঞাপন । এমনি এক ডাঃ শায়লা শারমিন তিথির ক্ষেত্রে লেখা রয়েছে এমআরসিওজি পার্ট-৩(লন্ডন)। আর ডাঃ মোহাম্মদ মুফ্তি মাহমুদের লেখা রয়েছে এমডি(নিউরো)পার্ট—২।
এবিষয় ডাঃ শায়লা শারমিন তিথির কাছে জানতে চ্ইলে তিনি বলেন, এ বিয়ষে আমার জানা ছিলোনা , যেটা করেছেন সেটা ঠিক করেনি, অপরাধ করেছেন। এতে করে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হব।
উল্লেখ্য গত জানুয়ারি মাসের (৩১ তারিখে) স্বাস্থ মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে লাইসেন্স না থাকা সহ নানা অনিয়মের কারণে যশোর র্যাব-৬ ও উপজেলার নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট মিলিত হয়ে জরিমানা করেন। তার পরেও কোন পরিবর্তন হয়নি, বরং বেড়েছে অনিয়ম । জরিমানার পরেই এখানে যোগ দিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো: ওহিদুজ্জামান। তিনি এখানে অপারেশনের সময় অ্যানেস্থেশিয়া(অজ্ঞান করেন)দিচ্ছেন।
এবিষয় অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা মো: ওহিদুজ্জামানের কাছে জানবার জন্য তার মুঠোফোনে বারবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
ভুক্তভোগী এক রোগী রানা হোসেন(ছদ¥ নাম) বলেন, সরকারি কোন বৈধতা না থাকা সত্ত্বেও দেদাছে চলছে হাসপাতাল। অভয়নগর উপজেলার কর্মকর্তা মো: ওহিদুজ্জামান যোগসাজোসে চালিয়ে যাচ্ছেন এই প্রতারণা করছেন। ডাক্তারের কাছে গেলেই ধরিয়ে দেন হাজার টাকার টেষ্ট,আর বাচঁতে হলে তা করতে হবে। কিন্তু আমরা যে সঠিক সেবা পাচ্ছিন না এটা কে দেখবেন । যে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এই বিষয় গুলোর দেখবেন, তিনি যখন নিজেই এই অপরাধের সাথে জরিত,তখন আমরা সাধারণ রোগীরা কোথায় যাব। সরকারের কাছে এসকল প্রতিষ্ঠান ও কর্মকর্তার সঠিক বিচারের দাবি জানায়। যাতে করে আমাদের মতন সাধারণ রোগীরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। যদি সরিষার মধ্যে ভুত থাকে তো আমরা সাধারণ রোগীরা কোথায় যাব বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।
এসকল বিষয়ে এবিয়য়ে হাসপাতালের ম্যানেজার শাছুল ইসলামের কাছে যানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা লাইসেন্স জন্য আগে আবেদন করেছি কিন্তু এখন আমাদের লাইসেন্স নবায়ন হয়নি। এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অভয়নগর উপজেলার কর্মকর্তা মো: ওহিদুজ্জামান স্যার আমাদের সাথে আছেন। আমাদের কোন সমস্যা নেই। এছাড়াও বাকি সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন অন্য হাসপাতালের থেকে আমাদেরটা অনেক ভালো আছে।
এবিষয়ে যশোর জেলা সিভিল সার্জন মাহামুদুল হাসান বলেন, লাইসেন্স ছাড়া প্রতিষ্ঠান চালানোর কোন সুযোগ নাই। ডিগ্রী সম্পুন্ন করা ছাড়া ডাক্তারা কোন ভাবেই তা ব্যবহার করতে পারবেন না। আর দুঃখের বিষয় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নিজেই প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত। এসকল বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।