কণ্ঠ ডেস্ক
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতা ঠেকাতে জারি করা অনির্দিষ্টকালের কারফিউ দ্বিতীয় দিনের মতো আজও ৭ ঘণ্টা শিথিল করা হয়েছে। এতে বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকাল থেকেই অফিস-আদালত এবং স্বাভাবিক কাজে বের হয়েছেন নগরবাসী। একসঙ্গে অনেক মানুষ বের হওয়ায় রাজধানীর কিছু কিছু সড়কে যানবাহনের চাপ রয়েছে। কোথাও আবার সড়ক ফাঁকা দেখা গেছে। এদিকে গণপরিবহন কম থাকায় রিকশা অথবা অটোরিকশায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যাত্রীদের পৌঁছাতে হচ্ছে গন্তব্যে। অনেককে হেঁটেই গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সড়কে আজও গণপরিবহন কম। তবে গতকালের মতোই ব্যক্তিগত গাড়ির দখলে সড়ক। প্রধান প্রধান সড়কে প্রাইভেটকার, সিএনজি চালিত অটোরিকশা বেশি দেখা গেছে।মহাখালী, তেজগাঁও ফার্মগেট, শাহবাগ, মৎস্য ভবন, গুলিস্তান এলাকায় অন্যান্য কর্মদিবসের মতোই যান চলাচল স্বাভাবিক দেখা গেছে। তবে গণপরিবহন কম থাকায় পাশেপাশের কিছু সড়ক রয়েছে ফাঁকা।মোহাম্মদপুর থেকে কলাবাগানে পায়ে হেঁটে কাজে যাচ্ছিলেন ঠিকাদার খলিলুর রহমান। বেলা ১১টার পর ধানমন্ডি-২৭ নম্বর মোড়ে তার সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘কারফিউয়ের মধ্যেও প্রতিদিন কাজ সীমিত আকারে চালিয়ে যাচ্ছি। ছোট কাজ হওয়ায় আমি নিজেও করছি। অটোরিকশায় উঠলেই নানা কারণ দেখিয়ে ভাড়া বেশি চায়। তাই হেঁটেই রওনা দিয়েছি।’আরেক যাত্রী সুমন মিয়া বলেন, ‘কালও বাসা থেকে বের হয়ে ভেঙে ভেঙে অফিসে গেছি। কিছু পথ রিকশায় আবার কিছু পথ হেঁটে যেতে হয়েছে। আজও বাসা থেকে বের হয়ে কিছুক্ষণ হেঁটে রিকশায় উঠেছি।’তেজগাঁও জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্র্যাফিক) স্নেহাশিস কুমার দাস বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গতকাল সড়কে যেমন যানবাহনের চাপ ছিল, সেটি আজ দুপুর পর্যন্ত তেমন দেখা যায়নি। তবে সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ি রয়েছে অনেক। কারফিউ চলা অবস্থায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অনেকেই বাসা থেকে বের হচ্ছেন না। তাই আজ সড়ক ফাঁকাই আছে। তেমন যানজট নেই।’