কণ্ঠ ডেস্ক
টানা পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর রাজধানীর প্রধান নদীবন্দর সদরঘাট নৌ টার্মিনাল থেকে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। তবে ঘাট এলাকায় এখনও মানুষের উপস্থিতি সীমিত।বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে সদরঘাট নৌ টার্মিনাল ও পন্টুন এলাকা ঘুরে যায়, পন্টুনে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছে বরিশাল, ভোলা, চাঁদপুর, নোয়াখালী রুটের এক ডজন লঞ্চ। চাঁদপুরের লঞ্চগুলোতে যাত্রী উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। তবে অন্য রুটের লঞ্চগুলোতে যাত্রী উপস্থিতি একাবারেই হাতে গোণা।ঘাট ও লঞ্চ সংশ্লিষ্টরা জানান, কারফিউ শিথিল সময়ে সকাল ১০টা থেকে লঞ্চ চলাচল করছে সদরঘাট থেকে। বিকাল ৫টা পর্যন্ত ছেড়ে যাবে লঞ্চগুলো। গতকাল ২টি লঞ্চ ভোলা, চাঁদপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। আজ সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ১২টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে ও ৮টি লঞ্চ বিভিন্ন স্থান থেকে ছেড়ে এসে ঘাটে ভিড়েছেইলিশাগামী এমভি পুবালী ৭ এর ম্যানেজার মিজানুর রহমান বলেন, ‘যাত্রী অন্য সময়ের থেকে অনেক কম। আমাদের চাঁদপুরে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ টা লঞ্চ ছাড়ে। আজ ৫টা ছাড়বে। মানুষ এখনও রাস্তায় কম বের হচ্ছে কারফিউয়ের কারণে। একারণে লোক কম ঘাটে।’ভোলা জেলার লালমোহনগামী শ্রীনগর ৭ লঞ্চের কেবিন ইনচার্জ জামাল বলেন, ‘আজ ৫দিন পর লঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছি। যাত্রী কম, মালপত্রই বেশি। তবে কেবিন মোটামুটি ভালো বিক্রি হয়েছে।ঘাটে আসা যাত্রীরা জানান পথে যানজট তেমন না থাকলেও যানবাহন সংকট ছিল চরম। ফলে সদরঘাট আসতে যথেষ্ট ভোগান্তি হয়েছে তাদের।বরিশালগামী যাত্রী আলিম মোল্লা বলেন, ‘মিরপুর থেকে আসছি। রাস্তায় বাস নাই একদম। যাও দু-একটা বাস আসে যাত্রী বোঝাই। এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে বাসে উঠছি অনেক কষ্টে। সদরঘাট আসতে তিন ঘণ্টা সময় লাগছে মিরপুর থেকে।’সদরঘাট নৌ টার্মিনালের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর একেএম বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘সকাল ১০টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত ৮টা লঞ্চ এসছে এবং ১২টা লঞ্চ ছেড়ে গেছে। তবে যাত্রীর চাপ নেই ঘাটে।’ঘাট এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সদরঘাট নৌ থানার ওসি আবুল কালাম বলেন, ‘যে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে নদীতে নৌ পুলিশ নিয়মিত টহল দিচ্ছে। এছাড়া টার্মিনাল ঘাট এলাকায় আমাদের পুলিশ সদস্যরা সতর্ক অবস্থায় আছে।‘