কণ্ঠ ডেস্ক
এখনো দু-একটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও অধিকাংশ নদ-নদীর পানি কমছে। ফলে বন্যা পস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। আগামী দুদিনে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পরিস্থিতিরও উন্নতি হবে। গতকাল মঙ্গলবার এমন পূর্বাভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানিয়েছেন, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে, যা আগামী তিনদিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। গঙ্গা নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, অপরদিকে পদ্মা নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল আছে, যা অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীসমূহের পানির সমতল সার্বিকভাবে হ্রাস পাচ্ছে, যা আগামী দুদিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এদিকে বুধবার নাগাদ ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদী সংলগ্ন জামালপুর জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। এই সময়ে দেশের উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পেয়ে স্বাভাবিক প্রবাহ বজায় থাকতে পারে। আগামী দু’দিনে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। পাউবো জানিয়েছে বিভিন্ন নদ-নদীতে তাদের পর্যবেক্ষণাধীন ১১০টি স্টেশনের মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার পানির সমতল বেড়েছে ৩৪টিতে, কমেছে ৭১টিতে। আর পাঁচটি স্থানে পানির সমতল অপরিবর্তিত আছে। বর্তমানে তিন যমুনার পানি জামালপুরের জগন্নাথগঞ্জে কুশিয়ারার পানি সুনামগঞ্জের মারকুলিতে, সোমেশ্বরীর পানি নেত্রকোণার কলমাকান্দায় ও মেঘনার পানি মুন্সিগঞ্জের মেঘনা ব্রিজে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।