জহুরুল ইসলাম
যশোরের মনিরামপুর উপজেলা বিএনপির অন্তর্গত ঢাকুরিয়া,খেদাপাড়া,চালুয়াহাটি ইউনয়নের বিএনপির শীর্ষ পদ শূন্য থাকায় গত বৃহস্পতিবার শূন্য পদে কমিটি ঘোষনা করেন মনিরামপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শহীদ মোঃ ইকবাল হোসেন। কমিটি ঘোষনার পর থেকেই মনিরামপুর উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দরের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
সূত্র মতে জানাগেছে, গত ২০২২ সালে মণিরামপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড, শহিদ ইকবাল হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়কগণকে দলের কমিটি পুনঃগঠনের কার্যক্রমে অসমাপ্ত ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কমিটি গঠনের কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হয়। একই সাথে রোহিতা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক মিজানুর রহমানকে সংগঠনের সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি প্রদান করে এক নম্বর যুগ্মা-আহ্বায়ক আতিয়ার রহমানকে চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়। উপজেলাধীন ওয়ার্ড থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত দলের কমিটি পুনঃগঠনের অসমাপ্ত কার্যক্রম সরাসরি জেলা ৩ তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন হবে।২০২২ সালের অক্টোবর মাসে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এমনটি নিশ্চিত করেছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড, সৈয়দ সাবেবুল হক সাবু। কিন্তু হটাৎ করেই বৃহস্পতিবার ১১ জুলাই মনিরামপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শহীদ মোঃ ইকবাল হোসেন চালুয়াহাটি ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক বজলুর রহমানের মৃত্যু জনিত কারণে কোন পূর্ন ষোষনা ছাড়াই একক ভাবে চালুয়াহাটি ইউনিয়ন বিএনপি নেতা রবিউল ইসলামকে ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হিসাবে দায়িত্ব গ্রহনের নির্দেশ দেন নেতা সাংগঠনিক নিয়ম অনাম্য করা বলে দাবি করেন বিএনপি নেতারা। মনিরামপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আসাদুজ্জমান মিন্টু বলেন, মনিরামপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শহীদ মোঃ ইকবাল হোসেন নিয়মের তোয়াক্কা না করেই যশোর জেলা বিএনপি কে বৃন্ধঙ্গুলি দেখিয়ে তিনি এ কমিটি করছেন,যা আমরা প্রত্যাক্ষাণ করেছি এবং যেহেতু জেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দরা কমিটি গঠন কার্যক্রমে বন্ধ রাখতে বলেছেন সে নির্দেশ উপেক্ষা করে তিনি কমিটি দিয়েছেন এ বিষয় আমরা জেলা নেতৃবৃন্দকে অবহিত করেছি তারা এখনো কোন নির্দিষ্ঠ ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। আসাদুজ্জমান মিন্টু আরো বলেন, উপজেলা আহবায়ক শহীদ মোঃ ইকবাল বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অপকর্ম জেলা বিএনপির নেতৃবন্দরা নিষেধ করেলেও সে কোন কথা শোনে না। গত জাতীয় ও উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলেও সে সরকার দলের সাথে আতায়েত করে নির্বাচনে তাদের সহায়তা করেন যা স্বয়ং জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকার প্রার্থী যিনি ছিলেন তিনি একটি জনসভায় সরাসরি স্বিকার করেছিলেন এবং সম্প্রতি উপজেলা নির্বাচনে ও শহীদ ইকবাল সরাসরি আমজাদ হোসেন লাভলুর আনারস প্রতিকের নির্বাচন করেছিলেন যে বিষয় জেলা ও কেন্দ্রে অভিযোগ দিলেও কোন প্রকার ব্যবস্থা তার বিরুদ্ধে হয়নি। মনিরামপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শহীদ মোঃ ইকবাল হোসেন বলেন, কমিটি গঠন বন্ধ ছিলো বর্তমানেও বন্ধ আছে। কমিটি গঠনের সাথে এর এর কোন সম্পর্ক নেই। জেলারা যতদিন না বলবে কমিটি গঠন বন্ধ থাকবে। তিনি আরো বলেন, কমিটি আগেই হয়ে আছে। শূন্য পদে পদন্নতি দেওয়া হয়েছে। যে মারা গেছে আর পদত্যাগ করেছে তার পরের জনকে সেই পদে দেওয়া হয়েছে।