নিজস্ব প্রতিবেদক
“হত্যা করা হলে লাশ চাই নিখোঁজ হলে সন্ধ্যান চাই”এই স্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে-ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ) আসনের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য জনাব আনোয়ারুল আজীম আনারের হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ১৩নং ফুরসন্ধি ও১৭নং নলডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজনে এক বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকাল ১০ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ১৩নং ফুরসন্ধি ইউনিয়নের টিকারী বাজারে ফুরসন্ধি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শিকদারের সভাপতিত্বে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বক্তব্য প্রদান করেন কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জনাব জাহাঙ্গীর হোসেন ঠান্ডূ, নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জনাব শিবলী নোমানী, কালীগঞ্জ পৌরসভার সুযোগ্য মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল আলম, কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রাশেদ শমসের, কালীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন সোহেল,
সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রাশেদ শমসের, কালীগঞ্জ উপজেলার ১নং সুন্দরপুর-
দূর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সুযোগ্য চেয়ারম্যান ওহিদুজ্জামান ওদু, যুবলীগনেতা অলিম্পিক হোসেন, ফুরসন্ধি ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বর রাজা মিয়াসহ সকল মেম্বারবৃন্দ,গ্রামপুলিশগণ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন । অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ১৩নং ফুরসন্ধি ইউনিয়ন পরিষদের সুযোগ্য চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব শহিদুল ইসলাম শিকদারের ছেলে যুবলীগনেতা রবিউল ইসলাম শিকদার।এদিকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ১৭ নং নলডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, ইউনিয়ন পরিষদ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের আয়োজনে বিকাল ৪টার সময় নলডাঙ্গা বাজার পুলিশক্যাম্পের সামনে ঝিনাইদহ-৪ আসনের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য জনাব আনোয়ারুল আজীম আনারের হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ১৭ নং নলডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সুযোগ্য চেয়ারম্যান জনাব মোঃ সাইফুল আলম খান রিপন । উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম,উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শিবলী নোমানী,সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রাশেদ শমসের, কালীগঞ্জ উপজেলার ১নং সুন্দরপুর দূর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সুযোগ্য চেয়ারম্যান জনাব মোঃ ওহিদুজ্জামান ওদু,নলডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ঝন্টূ,প্যানেল চেয়ারম্যান ইসলাম কবির পলাশ,ইউপি সদস্য মিন্টু,যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পিপুল,কৃষকলীগনেতা আশরাফুল ইসলাম,বীরমুক্তিযোদ্ধা মন্টু গোপাল সহ আরও অনেকে। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন নলডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি আশরাফুল ইসলাম। মানববন্ধনে হাজার হাজার মানুষের বাজার জনসুমুন্দ্রে পরিনত হয়। স্ব স্ব ওয়ার্ডের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ব্যানার ফেসন্টুন নিয়ে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে বক্তাগণ বলেন গত মে মাসের ১২তারিখ এম পি আনোয়ারুল আজীম আনার চিকিৎসার জন্য ভারত গমন করেন, তারপর থেকেই তিনি নিখোঁজ রয়েছেন,ইতিমধ্যে যেসকল আসামী ধরা পড়েছেন তাদের স্বীকার উক্তিতে দুদেশের গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছেন তিনি খুন হয়েছেন তবে খুন হওয়ার কোন আলামত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উপস্থাপন করতে পারেননি এমনকি নিখোঁজ হওয়ার কোন কারনও উল্লেখ করছেন না,তিনি আদৌ বেঁচে আছেন না মারা গেছেন তা বোঝা যাচ্ছে না,তার মৃত্যু নিয়ে কালীগঞ্জ উপজেলার ৫ লক্ষ মানুষ চরম উদ্বেগ ও হতাশার মধ্যে আছে। কালীগঞ্জ উপজেলাবাসীর একটাই দাবি যদি হত্যা হয়ে থাকে তাহলে লাশ চাই আর নিখোঁজ হলে সন্ধ্যান চাই । বক্তব্য প্রদানকালে বক্তাগণ আরও বলেন এখানকার কিছু কুচক্রী মহল ঝিনাইদহ – ৪ আসনের তিনবার জনগণের ভোটে নির্বাচিত এম পি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার বিষয়কে কেন্দ্র করে নানা ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছেন,আনার হত্যার ঘটনাকে ভিন্নখাতে নেওয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কিন্তু তাদের জানা উচিত আনার এম পি যদি একজন খারাপ মানুষ হতো তাহলে তার জন্য আজ এতো মানুষ উপস্থিত হতেন না। গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করে তারা আরও বলেন অতি দ্রুত অপরাধের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের ধরে তাদেরকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হউক। আরো যেসকল যে ষড়যন্ত্রকারী মুখোশের আড়ালে ঘুরে বেড়াচ্ছে তাদেরকেও গ্রেফতার করে আইনমোতাবেক বিচারের আহ্বান জানাচ্ছি।বক্তাগণ আরও বলেন হত্যার সাথে জড়িত পরিকল্পনাকারী ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু ধরা পড়েছেন, বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় যে সকল খবর প্রকাশিত হচ্ছে তাতে করে বলাই যায় তারাও এই হত্যাকাণ্ডের সাথে প্রতক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে জড়িত।