কণ্ঠ ডেস্ক
যশোরে চলমান ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলার গেট টিকিটের নামে একদিকে চালাচ্ছে অবৈধ জুয়ার ব্যবসা অন্যদিকে মেলার সার্কাসের হাতি দিয়ে শুরু করেছে চাঁদাবাজি। মেলার সার্কাসের হাতি রাতে দেখাচ্ছে খেলা আর দিনে করছে চাঁদাবাজি। প্রতিদিন সকাল হলেই হাতি দেখিয়ে শহরের বিভিন্ন রাস্তায় চাঁদাবাজি করে বেরাচ্ছে। চাঁদার কবল থেকে মুক্ত নয় রাস্তার পাশের দোকানিরাও। হাতিকে টাকা দেওয়া ছাড়া কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারেনা সামনে দিয়ে। আবার টাকা কম দিলেও ভয়দেখিয়ে বেশী টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে হাতি পরিচালকের বিরুদ্ধে। আর এতে ভোগান্তিতে পড়ছে বিভিন্ন এলাকার দোকানী, রোডে চলাচলকারী যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা। সরেজমিনে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই যশোর শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যস্ততম সড়কের মাঝে যানবাহন থামিয়ে ইচ্ছে মতো চাঁদা আদায় করতে দেখা যায় । চাঁদা আদায় ছাড়া কোনোভাবেই তার বাধা অতিক্রম করতে পার ছিলনা চালকরা। কেউ কেউ হাতিকে এড়িয়ে যেতে দ্রুতগতিতে বিপদজনকভাবে রাস্তার পাশ দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যেতেও দেখা গেছে। চাঁদা না দিলে হাতি দিয়ে ভয় দেখানোর অনেক অভিযোগও পাওয়া গেছে।ভুক্তভোগী ইজিবাইক চালক রবিউল জানান, দড়াটানা থেকে নিউমার্কেটে ৩০ টাকার ক্ষেপে যাচ্ছিলাম। কিন্তু জেলখানার সামনে পৌছাতেই হাতি তার বাইকের সামনে দাড়িয়ে যায়। প্রথমে ১০ টাকা দেয় কিন্তু পরিচালকের ইশারায় তা ফিরিয়ে দেয়। পরবর্তিতে ২০ টাকা দিতে হলো।কাঠেরপুল এলাকার মাংশের দোকানে এক কর্মচারী জানান, দোকানের সামনে এসে দাড়িয়ে ভয় দেখানো শুরু করে পরিচালক। বাধ্য হয়ে ৫০ টাকা দিতে হয়। এসময় আরেক পথচারির কাছথেকে ভয় দেখিয়ে ১শ’ টাকা সহ প্রতিটি দোকান থেকে ইচ্ছে মত টাকা আদায় করা হয়। এদিকে, এ সময় কাঠেরপুল রোডে যানযট বেধে যায়। বড়বাজার থেকে কাঠেরপুল হয়ে জেলখানার সামনে বিভিন্ন যানবাহন আসতে সময় লাগে ৪৫ মিনিট। পরে ওই হাতি নিয়ে যাওয়া হয় বড়বাজারের দিকে। এভাবেই শহরের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি করছে মেলা কর্তৃপক্ষ।এদিকে, মেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান নাওমি এন্টার প্রাইজের মালিক কবীর আহমেদ মিঠু ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অমান্য করেই প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ভ্রাম্যমান ভাবে মেলার গেটটিকিট বিক্রি করছেন। এভাবে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে বিভিন্ন মহলে। এরমধ্যে মেলার সার্কাসের হাতি দেখিয়ে শুরু হয়েছে চাঁদাবাজি। এসব বিষয় নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন সবাই। হাতি নিয়ে চাঁদাবাজির বিষয়ে আয়োজনকারী প্রতিষ্ঠান নাওমি এন্টার প্রাইজের মালিক কবীর আহমেদ মিঠু বলেন, হাতি নিয়েচাঁদাবাজি হচ্ছে বিষয়টি তার জানা ছিলো না। তিনি এ বিষয়ে এখনো খোঁজ খবর নিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন।