কালিগঞ্জ(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি॥ সারা দেশের ন্যায় কালিগঞ্জে সার্ভার জটিলতায় বিপাকে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন প্রত্যাশীরা। প্রায় এক মাস ধরে সার্ভার স্লো থাকায় জরুরিভাবে জন্মনিবন্ধন সনদ না পেয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন আবেদনকারীরা। এতে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি না পাওয়ায় শঙ্কায় রয়েছে অভিভাবকরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলায় ১৩৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে মথুরেশপুরে ১২টি বিদ্যালয় রয়েছে। প্রায় সব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সবাই এখনো ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ জমা দিতে পারেনি। বেশ কিছুদিন যাবৎ কালিগঞ্জে অনলাইন স্লো থাকায় আবেদনকারীদের জন্মনিবন্ধন করতে পারেনি। বিশেষ করে অনেক অভিভাবক তাদের শিশু সন্তানদের স্কুলে ভর্তি করতেও পারছেন না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিশুদের ভর্তির জন্য নিয়ে গেলে শিক্ষকরা জন্ম নিবন্ধন ছাড়া ভর্তি করছে না। এমনকি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। এদিকে জন্ম সনদ প্রস্তুতকারী ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারে শত শত আবেদন জমা পড়ে আছে। ওয়েবসাইট স্লো হওয়ার কারণে সময়মত ডিজিটাল জন্মনিবন্ধন সনদ দিতে পারছে না উদ্যোক্তারা। ফলে জন্ম নিবন্ধন না পেয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন গ্রাহকরা। এ কারণে শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত না হয় এজন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট সময় বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রাথমিক শিক্ষার্থীর অনেক অভিভাবকরা জানান, আমাদের সন্তানরা নতুন শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়েছে। কিন্তু তার ডিজিটাল জন্ম সনদ নেই বলে বই পাইনি। তাছাড়া আগামী ১০ তারিখের মধ্যে ডিজিটাল জন্ম সনদ না দিলে সে উপবৃত্তিও পাবেনা বলে স্কুল থেকে শিক্ষকরা জানিয়েছে। এজন্য কয়েকদিন ধরে হাটাহাটি করছি সার্ভার স্লো, তারপরও এখনো আমরা জন্ম সনদ করতে পারিনি। মথুরেশপুর ইউনিয়নের উদ্যোক্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, প্রায় এক মাস যাবৎ সার্ভার স্লো থাকায় ঠিকমত কাজ করা যাচ্ছে না। বর্তমানে প্রতিদিন প্রচুর লোক আসছে সনদ নেবার জন্য, কিন্ত সার্ভার কাজ না করার কারণে সময়মত জন্ম সনদ এন্ট্রি ও নকল দিতে পারছি না। বিশেষ করে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্ম নিবন্ধনের আবেদন বেশি। এখন আমাদেরকে জনসাধারণের রোষানালে পড়তে হচ্ছে। বসন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনুপ কুমার ঘোষ বিষয়টি সম্পর্কে জানান, সরকারি নির্দেশনা মতে সকল শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিদ্যালয়ে জমা দিতে বলা হয়েছে। এটি না হলে উপবৃত্তি পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কিন্তু এখনো অনেক শিক্ষার্থী সনদ জমা দিতে পারিনি। শুনেছি সার্ভার স্লো হওয়ার কারণে এখনও সময় লাগতে পারে। বিষয়টি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে অবহিত করবো। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শামসুন্নাহার বলেন, সরকারি নির্দেশনা মতে সকল শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করতে শিক্ষকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সারা দেশের ন্যায় কালিগঞ্জে সার্ভার স্লো থাকায় ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধনে ত্রুটি হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে শিক্ষার্থীরা যাতে উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত না হয় এজন্য পরবর্তী নির্দেশনা আসতে পারে।