এস এম তাজাম্মুল,মনিরামপুর
ঘড়ির কাঁটায় দুপুর ২টা ৫০ মিঃ সার্টিফিকেট সত্যায়িত করতে মনিরামপুর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার রোকনুজ্জামনের কাছে গেলে “এখানে হবেনা,অন্য কোথাও দেখো”এই বলে ২ যুবককে অফিস থেকে চলে যেতে বলেছেন কর্তৃপক্ষ।এছাড়াও নিজের ইচ্ছামত অফিস করেন এমনই একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে মনিরামপুর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার রোকনুজ্জামানের বিরুদ্ধে।সার্টিফিকেট সত্যায়িত সেবা নিতে আসা মোঃ সোহেলের ফোনকলের অভিযোগের ভিত্তিতে মনিরামপুর উপজেলা সমাজসেবা অফিসারের কার্যালয়ে গেলে দেখা যায়,রোকনুজ্জামানের অফিস কক্ষে তালা ছাড়ায় সিটকানি টেনে দরজা বন্ধ।খোজ নিতে গেলে রেকর্ডকৃত তথ্যেমতে,অফিস সহকারি জানান স্যার বাইরে প্রগ্রামে আছে,অন্য এক স্টাফ জানান স্যার মিটিংয়ে আছে।রহস্য কাটানোর জন্য মুঠোফনে যোগাযোগ করলে রোকনুজ্জামান জানান,আমি বাইরে আছি,আজ কোন কাজ হবেনা।পরবর্তীতে বলেন,তিনি গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন।অফিসিয়ালি ছুটিতে আছেন কিনা জানতে চাইলে বলেন,ছুটি না আমার বড় সার সবই জানে,নিউজ করে কি করবেন?
কথা শেষ না হতেই ফোন কেটে আবার জেলা সমাজসেবা উপপরিচালককে ফোনকলে ম্যানেজ করে ফেলেছেন তিনি।এমনই সন্দেহজনক কিছু ধারনা পাওয়া গেছে যচোর জেলা সমাজসেবা উপপরিচালকের কথোপকথনে।
অফিসিয়াল ৩ জনের বক্তব্যে ভিন্নতা রয়েছে। আসলেই সত্যটা কি!তবে এটা প্রতীয়মান,তিনি একজন বিসিএস ক্যাডার হয়ে জনগনের সেবার জন্য সরকারি দপ্তরে বসেছেন।কিন্তু তিনি দপ্তরকে নিজের সুবিধার জন্য ব্যাবহার করে চলেছেন,জনগনের না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পার্শবর্তী অফিসের ৩য় শ্রেনীর এক কর্মচারী জানান,এ স্যার তো একটু আগেই বেরিয়ে গেলো।এই ২জন ছেলে আসছিলো দেখছিলাম,অনেক্ষন দাড়িয়েও ছিলো।পরে কি হয়ছে আমি জানিনা।তবে সার(রোকনুজ্জামান) অফিসে আসেন দেরিতে, চলে যায় ৩-৪টার ভিতরে, অনেকদিন তো সকালে মিটিং আছে বলে এসেই বাইরে চলে যান আর আসেন না।
সরকারি চাকুরীর প্রস্তুতির জন্য সার্টিফিকেট সত্যায়িত করতে আসা মশ্বিমনগর ইউনিয়নের মোঃ সোহেল রানার বড় ভাই দলিল লেখক মোঃ লিটন হোসেন বলেন,ভাই বিসিএস ক্যাডার হয়ে একজন মূর্খের মতো ব্যাবহার করেছেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার রোকনুজ্জামান।তিনি তো আমাদের সেবার জন্যই চেয়ারে বসেছেন।সরকার জনগনের সেবার জন্য তাকে মোটা অংকের বেতন দেই।তাহলে কেনো তিনি এই খারাপ আচরন করলেন,তিনি কিভাবে মনিব হয়ে বললেন”এখানে হবেনা,অন্য কোথাও দেখো”।আমরা জনগণ কি তাহলে তার কাছে ফকির হয়ে গেলাম!এভাবে যদি সমাজের জনগনের সেবার জন্য দেওয়া সরকারি দপ্তর চলে,তাহলে সাধারন জনগন কোথায় যাবে?
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে,যশোর জেলা সমাজসেবার উপপরিচালক অসিত কুমার সাহা মুঠোফোনে বলেন,উনি(রোকনুজ্জামান) ছুটি নেননি তবে একটু আগে আমাকে ফোন করে গ্রামের বাড়িতে সমস্যা হয়েছে, বাড়িতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।তবে,পাবলিকের সাথে এমন আচরন খুবই দুঃখজনক, বিষয়টি আমি দেখছি।