মণিরামপুর প্রতিনিধি: চিকিৎসার নামে প্রতারনা ব্যবসা রুখতে কঠোর অবস্থানে নিয়েছে যশোর স্বাস্থ্যবিভাগ। সোমবার দুপুরে যশোরের সিভিল সার্জন ডাক্তার শেখ আবু শাহীনের নেতৃত্বে মণিরামপুরের ৬টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি প্রতিষ্ঠানকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করাসহ তিনটি প্রতিষ্ঠানকে সময় দেয়া হয়েছে। এছাড়া প্রগতি ডিজিটাল ডি-ল্যাব এন্ড রিজু হসপিটালের মালিককে জরিমানা অনআদায়ে তিন মাসের জেল দেয়া হয়েছে। একটি প্রতিষ্ঠানের প্যাথলজিক্যাল ল্যাব বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার শুভ্রারানী দেবনাথ জানান, মণিরামপুর হাসপাতালের সামনে জিনিয়া প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরী ও ডক্টরস ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্যাথলজি ল্যাব লাইসেন্স নবায়ন ও মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা না হওয়ায় মালিক মনিরুজ্জামান জনি ও জাকির হোসেনকে পঞ্চশ হাজার টাকা করে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বন্ধ হওয়া মোহনপুর বটতলায় অবস্থিত প্রগতি ডিজিটাল ডি-ল্যাব এন্ড রিজু ইসপিটালের মালিক মোহাম্মাদ আলী জিন্নাহ সিভিল সার্জনের অনুমতি বিহিন অবৈধভাবে পুনরায় পরিচালনা করা ও মানসম্মত না থাকার দায়ে পঞ্চশ হাজার টাকা জরিমানা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে তিন মাসের জেল দেয়া হয়। এছাড়া হাসপাতালের সামনে ল্যাব সাদের ল্যাব ক্রটি থাকার দায়ে ল্যাব বন্ধকরাসহ মানসম্মত করা জন্য এক মাসের ও মুন হসপিটাল লাইসেন্স নবায়ন না থাকার দায়ে একদিন সময় দিয়ে বন্ধ ঘোষনা করা হয়। মোহনপুর বটতলায় নিউ লাইফ ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টারকে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা করার জন্য সাত দিনের সময় দেয়া হয়েছে। জিনিয়া ও ডক্টরসের লাইসেন্স নবায়ন ও ল্যাব সাদের সেবার ক্রটিপূর্ন ব্যর্থ হলে স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হবে। এ সকল অভিযানের টিমে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নির্বাহী ম্যাজিষ্টট সৈয়দ জাকির হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার শুভ্রারানী দেবনাথ, আবাসিক মেডিকেল অফিসার অনুপ কুমার বসু, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান, এসআই শাহিনুর রহমান প্রমুখ