1. jitsolution24@gmail.com : admin :
  2. shantokh@gmail.com : Sharif Azibur Rahman : Sharif Azibur Rahman

শার্শার অঘ্যান করে ভয়ংকর ধর্ষণের অপচেষ্টা

  • প্রকাশের সময় মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২০
  • ১৭ বার সংবাদটি পাঠিত

বেনাপোল প্রতিনিধি: যশোরের শার্শা উপজেলার ডিহি গ্রামে ধর্ষন, লুটপাট, কিংবা খুন এর মত দুর্ঘটনার মতো একটি ভয়ংকর ঘটনার অপচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার(১০অক্টোবর) শার্শা উপজেলার ডিহি গ্রামের ভুক্তভুগি নারী মিনু বেগম স্বামী ওবাইদুল অভিযোগটি শার্শা থানায় দায়ের করেছে। অভিযোগে জানা গেছে, গত ৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে একই গ্রামের সাইফুল ইসলাম নামক এক যুবক ( পিতা:সিরাজুল মিয়া) তার বন্ধু একই গ্রামের সাত্তারের ছেলে হৃদয় ওই মহিলার বাড়িতে আসে। এসময় বাড়িতে তার কলেজ পড়ুয়া কন্যা সোনিয়া খাতুনও ছিল। ওই যুবক সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নৃত্য-সঙ্গীত কর্মকান্ডে যুক্ত। পুলিশে দায়ের করা অভিযোগে ওই নারী বলেন, অভিযুক্ত যুবক ও তার বন্ধু তাদের পুর্ব পরিচিত। সে ও তার বন্ধু একটি পত্র হাতে করে রাতে আসে। তার হাতে ছিল RC বোতল একটি। সে বলল যশোর থেকে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রন এসেছে। তাতে সোনিয়া খাতুন এর নাম দিতে হবে। উল্লেখ্য সোনিয়া খাতুনও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে জড়িত। আলাপ আলোচনার এক পর্যায়ে ওই যুবক তাদের দুজনকেই অনেক পীড়া পিড়ি করে RC খেতে বাধ্য করে।RC বোতল টি পাশের আলামিনের দোকান থেকে কিনে ছিলো। খাওয়ার পর পরই মেয়ে সোনিয়া খাতুন অচেতন হয়ে পড়ে। এবং অভিযোগকারী মিনু বেগম নিজেও অচেতন হয়ে পড়ার আশঙ্কায় দ্রুত ওই যুবকটিকে ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বাইরে পাঠিয়ে দিয়ে গেটে তালা দিয়ে দেয়। এরপর দুজনেই অচেতন একটানা দুদিন । এরপর প্রতিবেশীদের দ্বারা উদ্ধার হয়ে চেতনা ফিরলে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগকারীর বক্তব্য হলো উল্লেখিত বড় ধরনের কোন একটি অঘটন ঘটানোর লক্ষ ছিল ওই যুবকের।অন্য কিছু তো বাড়ির বাহিরে থাকে সে গুলো তো নিতে পারতো তা না করে এ কাজ কেন করেছে কি উদ্দেশ্য ছিলো।অভিযোগ পাওয়ার পর শার্শার গোড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এজাজ মাহমুদ ঘটনার তদন্তে ওই গ্রামে যান। এদিকে অভিযুক্ত যুবক ঘটনার দিন থেকেই পলাতক রয়েছে। তবে তার মোবাইল ফোনে মিনু বেগম সুস্থ হয়ে ফোন দিলে সে জানায় ওই RC মধ্যে ঘুমের ট্যাবলেট মিশানো ছিল। এই ঘটনার সরেজমিন খোজ খবর নেওয়ার সময় অভিযোগকারী এবং অভিযুক্তদের সাথে আলাপ করা হয়। তবে পলাতক ওই যুবক এর মাতা নাসিমা খাতুন বলেন আমার ছেলে বিবাহিত, এরকম কাজ সে করতে পারে না।আর যদি করে থাকে তার আইন তার বিচার করবে। আবুল কাশেম নামক গ্রামবাসীর একজন বলেন দীর্ঘদিন ধরে অভিযুক্ত যুবক এর মিনু বেগমের বাড়িতে যাতায়াত ছিল।তবে ওই দিন কি ঘটনা ঘটেছে সে সম্পর্কে কিছু বলতে পারব না।

সংবাদটি সেয়ার করে পাশে থাকুন

একই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved  2024
Design by JIT SOLUTION