দেলোয়ার হোসেন,কলারোয়া (সাতক্ষীরা)
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘটনা প্রবাহের আলোকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকালে কলারোয়া সরকারি কলেজের আয়োজনে কলেজ মিলনায়তনে এ সভার কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।কলেজের অধ্যক্ষ,প্রফেসর. এস. এম আনোয়ারুজ্জামান এঁর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক টি এম মনজুরুল আজাদ।শহীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ আহ্বায়ক হোসাইন মাহমুদ, বার্ষিক অভ্যন্তরীণ ক্রিয়া প্রতিযোগিতার আহ্বায়ক মোখলেছুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ, প্রফেসর. আতিয়ার রহমান, প্রাণি বিভাগ প্রভাষক নাজমুল হোসান, ব্যবস্থাপনা বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ফারুক হোসেন প্রমুখ।জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘটনার প্রবাহ নিয়ে একক অভিনয় করেন অনার্স তৃতীয় বর্ষ ছাত্র রহমোতুল্লাহ।অহনা পাইন দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ও সহকারি সাংস্কৃতিক প্রিফেক্ট আফরোজা খাতুন, কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ছাত্রদের পক্ষ থেকে শেখ ফয়সাল,কাইফুর রহমান, সৈকতসহ কলারোয়া সরকারি কলেজের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। বক্তব্য শেষে শহিদদের স্মরণে এবং আহতদের সুস্থ্যতা কামনায় দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন হিসাববিজ্ঞান বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক মারুফ কবির। একইভাবে কলারোয়া পাইলট হাইস্কুল, বেত্রবতী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আলিয়া মাদ্রাসা,আমানুল্লাহ ডিগ্রী কলেজ, সোনাবাড়িয়া সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ উপজেলা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিজ নিজ শিক্ষা কেন্দ্রে শহিদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান শেষে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘটনা প্রবাহের আলোকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে জুলাইয়ের বিপ্লবী গান ও কবিতা আবৃত্তি করেন অত্র কলেজের শিক্ষার্থীরা। উল্লেখ্য বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ১৫০০ শহীদের অবদানের কথা স্মরণ করে তাদের আত্মার শান্তি কামনা করেন। এছাড়াও জুলাই ছাত্র জনতার গণঅভূত্থানে সরকারি হিসেবমতে প্রায় ২০ হাজার আহতদের প্রতি সসমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়। আহতদের দ্রুত আশুরোগমুক্তি কামনায় দোয়া করা হয়।