শার্শা প্রতিনিধি ঃ যশোরের শার্শায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের মাছের ঘের থেকে ফেরারী আসামী আটকের সময় ঘের সংলগ্ন বসতবাড়ির দরজা ভাংচুর ও মাছ বিক্রির টাকা লুটের ঘটনার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুলের শার্শা উপজেলার বনমান্দার গ্রামে দেড়শত বিঘা জলাশয়ে মাছের চাষ করে আসছেন যা স্থানীয় লোকবল দ্বারা পরিচালিত। বনমান্দার গ্রামের মৃত শাহাজানের ছেলে আমির হোসেন (৩৫), মৃত হাসেম আলীর ছেলে কবীর হোসেন (৪২), আব্দুল ওয়াদুদের ছেলে ইসমাইল (২৫) এবং মৃত সুলতান শেখের ছেলে আজিবর শেখ (৫১) মাছের ঘেরের যাবতীয় কাজকর্ম ও পাহারার দায়িতে রাত দিন কাটিয়ে দেয়। আমির হোসেন স্ত্রীর সাথে বনিবনা না থাকায় তার স্ত্রীকে তালাক দিলে স্ত্রীর করা মামলায় ফেসে যান তিনি। এক পর্যায়ে তার নামে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে আদালত। স্থানীয় ২জন ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি মিমাংসার আশ্বাস দিলেও বাদি পক্ষ কর্ণপাত করেনি। রোববার রাত আনমানিক ৩ টার দিকে থানার পুলিশ আমির হোসেনকে আটক করতে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের মাছের ঘের সংলগ্ন ঘরে অভিযান চালায়। আমির হোসেন ঘরের দরজা খুলতে রাজি না হওয়ায় পুলিশ ৩টি দরজা ও তালা ভাংচুর করে আসামী আটক করে এবং বাক্সে রাখা মাছ বিক্রির ২৯ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় বলে ঘেরের কর্মচারীরা অভিযোগ করেন। এব্যাপারে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল মঙ্গলবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং পুলিশ তার মাছের ঘেরে মাছ বিক্রির ২৯ হাজার টাকা লুট ও ভাংচুরের বিষয় পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।