বেনাপোল প্রতিনিধি: যশোরের বেনাপোল বন্দরের ৫নং গেটের বিপরীদে গাজিপুর গ্রামের আব্দুল রশিদ এর বাড়ি থেকে পরিত্যক্ত ভাবে ২০ টি হাত বোমা উদ্ধার করেছে বিজিবি সদস্যরা। মঙ্গবার (৬অক্টোবর) সকালে বোমা গুলো ঐ বাড়ির বাদরুমের মধ্যে থেকে উদ্ধার করা হয়।বোমা উদ্ধার হওয়া বাড়ি টি স্থলবন্দরের শ্রমিকদের নিকট ভাড়া দেয়া ছিলো। স্থনীয়রা জানায়, ১৯৭২ সাল থেকে বেনাপোল বন্দরের সাথে ভারতের বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের প্রথম থেকে বাণিজ্যে আগ্রহ বেশি। তবে বন্দরের শ্রমিক নেতৃত্বের দখল দ্বারিত্ব নিয়ে গেল কয়েক বছর ধরে দুই গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় বন্দর এলাকায় সব সময় উত্তেজনা বিরাজ করে। প্রাইয় প্রভাব বিস্তার নিয়ে বন্দরে শোনা যায় বোমার আওয়াজ। রাস্তায় চলাচলরত সাধারণ মানুষ এসময় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে দূর্বৃত্তরা। ফলে বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশঙ্কায় ভুগছেন এলাকাবাসি সহ ব্যবসায়ীরা।প্রশাসনের সুষ্ঠু তদন্ত করে এসমস্থ ঘটনার রহস্য উদঘাটন জোর দাবী জানান। শ্রমিকরা জানায়,গত০২ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকালে বন্দরের ২৩ নাম্বার শেডে একটি বিকট শব্দে একটা ককটেল বিষ্ফোরিত হয়। এর আগেও গত বছরে ১৫ মে বন্দরের ১১ নাম্বার শেডের টয়লেটের মধ্য থেকে তাজা ১০ টি ককটেল পুলিশ উদ্ধার করে। তবে কারা কেন বোমা রাখলো সে বিষয়ে আজ পর্যন্ত কোন রহস্য উৎঘাটন হয়নি। বাড়ির মালিক আব্দুর রশিদ বলেন, প্রায় ২০/২৫বছর আগে ওই বাড়িটি ক্রয় করেছিলাম।একদিনও বাড়িতে বসবাস করি নাই।আমার গ্রামের বাড়িতে বসবাস করি।৮৯১ শ্রমিকরা তাদের বিশ্রামাগার করার জন্য আমার নিকট থেকে ভাড়া নিয়েছে বাড়িটি। বোমা উদ্ধারের বিষয় কিছু জানি না। ৪৯ বিজিবি বেনাপোল ক্যাম্প কমান্ডার শহিদুল ইসলাম শহিদ জানান,গোপন সংবাদে জানতে পারি বন্দরের গেটের অপজিটে আব্দুল রশিদ এর বাড়ির ভিতর কয়েকজন লোক বোমা নিয়ে অবস্থান করছে। এমন খবরে বিজিবি ফোর্স নিয়ে সেখানে উপস্থিত হলে ঐ বাড়ির দ্বিতীয় তলার বাতরুমে ভেতর থেকে ২০ টি হাত বোমা উদ্ধার করা হয়।বোমা গুলো নিয়ে তারা কেন সেখানে অবস্থান করছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি।