কালিগঞ্জ(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি।। কালিগঞ্জের পীর হযরত বুলাহ্ সৈয়দ (রঃ) মাজারের বিরোধপূর্ণ সম্পত্তি নিয়ে আদালতের নির্দেশ মোতাবেক তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার সকালে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে সাতক্ষীরা জজ কোর্টের এ্যাডভোকেট মানিক বিশ্বাস সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে এ তদন্ত কাজ সম্পন্ন করেন। আদালতে মামলা সূত্রে জানা যায়, কালিগঞ্জ উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের সিমান্তবর্তী বসন্তপুর গ্রামে হযরত বুলাহ্ সৈয়দ (রঃ) পীরের মাজার অবস্হিত। পূর্বপুরুষরা পীরের মাজার কে ঘিরে মিলাদ, মাহফিল, জিকির আজগার, দোয়া করে আসছে। ভক্তবৃন্দরা প্রতি বছর পীরের স্মরণে ১লা, ২রা ও ৩রা মাঘ তিন দিনব্যাপি পীরের দরগাহ বা মাজার প্রাঙ্গনে বার্ষিক ওরছ শরীফ আয়োজন করে। এই পীরের মাজারের প্রায় ১১ বিঘা সম্পত্তি এলাকার প্রভাবশালীরা দখল করায় মাজার এখন অস্তিত্ব সংকট দেখা দেয়। ২০০৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মাজার কমিটির নেতৃবৃন্দ মাজারের সম্পত্তি উদ্ধার করতে বসন্তপুর গ্রামের মৃত শহর আলীর ছেলে হাফিজুর রহমান, মুজিবর রহমান, হবিবর রহমান, নজরুল ইসলাম, সাইদুর রহমান, দিনবন্ধু দাশের ছেলে বিশ্ব নাথ দাশ, তারক নাথ দাশ, নিরাপদ দাশ সহ ১৩ জন অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে কালিগঞ্জ সহকারী জর্জ আদালত সাতক্ষীরায় ৪২/২০০৮ মামলা দায়ের করেন। পীর মাজারের সম্পত্তি উপজেলার বসন্তপুর মৌজার ডিএস ৩২৩, ৩১৬, ৩১৯ দাগে পীরের মাজার, মসজিদ, মাদ্রাসা, ইমাম কটার, পীর ভক্ত দর্শনার্থীদের থাকার ঘর, রাস্তা সহ বিভিন্ন স্হাপনা নেই বলে দখলকারীদের অভিযোগ তোলে। বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায় বাদীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মিথ্যা ও অন্যায় কাজের প্রতিকার প্রার্থনা করলে সরেজমিনে তদন্ত সম্পন্ন হয়। জানা গেছে, ১৯৩৮ সালের ভূমি রেকর্ডে উপজেলার বসন্তপুর মৌজায় হযরত বুলাহ্ সৈয়দ (রঃ) পীরের নামে জমি ছিল প্রায় ১৩ বিঘা। বর্তমানে মাজারের নামে রেকর্ডসহ দখলে রয়েছে মাত্র ৪৯ শতক। প্রভাবশালীরা নামে-বেনামে দখল করে রাখা মাজারের প্রায় ১১ বিঘা সম্পত্তির বাজার মূল্য প্রায় শত কোটি টাকা। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পীরের ভক্তসহ মাজার এলাকার মানুষেরা। তদন্তকালে উপস্হিত ছিলেন, মথুরেশপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান শেখ আলাউদ্দিন সোহেল, ইউপি সদস্য নূরুস সালাম গাইন, ওয়ার্ড সদস্য ফিরোজা বেগম, নাজিমগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ি কমিটির সাবেক সভাপতি শেখ ফিরোজ কবির কাজল, জরিপকারক কারিমুল্যাহ, গ্রাম ডাঃ তপন শর্মা, শিক্ষক রবিন লস্কার, সোনাতন লস্কার, বিশ্ব নাথ লস্কার সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, মামলার বিবাদীগং, মাজার কমাটির নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ ও মাজার এলাকার শত শত মানুষেরা। তদন্তকারী এ্যাডভোকেট মানিক বিশ্বাসের সাথে কথা হলে তিনি জানান, পীর মাজারের বিরোধপূর্ণ সম্পত্তি নিয়ে আদালতে মামলা-মোকদ্দমা রয়েছে। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে সরেজমিনে তদন্ত করছি। কয়েকটি বিষয় নিয়ে তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে