আসাদুর রহমান: যশোরের শার্শায় দক্ষিনের দাউদখালী,রুদ্রপুর, গোগা, হরিশ্চন্দ্রপুর, অগ্রভুলোট ও পাঁচভুলোট সীমান্ত গলিয়ে অবাদে মাদক দ্রব্য আসছে এপারে। মাদক নিয়ন্ত্রনে প্রশাসন জিরো টলারেন্স ঘোষনা করলেও অসহায় পুলিশ প্রশাসন। তারা জিম্মি মাদক ব্যাবসায়ীদের কাছে। প্রতিদিন মাদক আসলেও ধরা পড়ছে সীমিত।
গত ১লা সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র বিভিন্ন এলাকা থেকে ৯৯০বোতল ফেনসিডিল, ৬৩ পিস ইয়াবা ও ৩ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে। মাদক পাচারের সাথে জড়িত থাকায় ৬ জন নারী ও ১ শিশুসহ ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছে তারা। সেই সাথে মাদক পাচারের কাজে ব্যাবহৃত ৪ টি মোটর সাইকেল ও ১ টি ইজিবাইক জব্দ করা হয়েছে।
বিভিন্ন সুত্র জানিয়েছে শার্শার দাউদখালী,রুদ্রপুর, গোগা হরিশ্চন্দ্রপুর, অগ্রভুলোট সীমান্ত দিয়ে প্রচুর পরিমানে মাদকদ্রব্য আসছে বাংলাদেশে। মাদক পাচারে বাগআঁচড়া, কোটা, কায়বা, ইছাপুর, মহিষাকুড়া ও জামতলা এলাকায় সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। বাগআঁচড়া পুলিশের অভিযানে প্রতিদিন মাদক ধরা পড়লেও মালিক ধরা পড়ছেনা। পুলিশ জানিয়েছে বাগআঁচড়া এলাকায় গতমাসে মাদকসহ ১৯ জন ধরা পড়লেও এরা সকলেই জোন। তারা মালিক কে কেহ চেনেনা। সিন্ডিকেট চক্র লাইনম্যানের দারা মাদক ব্যাবসা নিয়ন্ত্রন করে। সুত্র আরো জানায় লেবাররা প্রতি বোতল ফেনসিডিল ১৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বহন খরচ নেয়। ব্যাবসায়ীরা ভারত থেকে প্রতি বোতল ২১০ টাকায় খরিদ করে। ১ বোতল ফেনসিডিল বাগআঁচড়ায় ৬ শ, যশোরে ৮শ ও যশোর পার হলে ১ হাজার থেকে ১২ শ’ টাকায় বিক্রীয় করে বলে সুত্র জানায়।
বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের অফিসার ইনচার্জ উত্তম কুমার বিশ্বাস জানান মাদক নিয়ন্ত্রনে প্রতিদিন অভিযান চালানো হচ্ছে। এবং শক্ত হাতেই এলাকার মাদক চোরাচালান নির্মুল করা হবে।