বিশেষ প্রতিনিধিঃমণিরামপুরে চাল চুরি মামলায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চুসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোমেন দাস চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করেন।
অভিযুক্ত অন্যরা হলো, মণিরামপুরের বিজয়রামপুরের মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন, তাহেরপুর গ্রামের মৃত সোলায়মান মোড়লের ছেলে শহিদুল ইসলাম, জুড়ানপুর গ্রামের রবিন দাসের ছেলে জগদিশ দাস, একুব্বার মোড়লের ছেলে আব্দুল কুদ্দুস ও খুলনার দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা সাহেবপাড়ার রতন হাওলাদারের ছেলে ড্রাইভার ফরিদ হাওলাদার।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, খুলনার মলিকতলা খাদ্য গুদাম থেকে সরকারি চাল লোড দিয়ে গত ৩ এপ্রিল রাতে মণিরামপুর খাদ্য গোদামে পৌছায়। পর দিন ৪ এপ্রিল সকালে ওই গুদামের এক কর্মকর্তা চালের চালানপত্র রেখে দিয়ে একটি কাগজে আব্দুল্লাহ আল মামুনের নাম ও মোবাইল নম্বর দিয়ে দেন। এরপর তার সাথে যোগাযোগ করে তার চাতালের গোডাউনে চাল আনলোড করার সময় পুলিশ তাকে আটক করে।এরই মধ্যে মণিরামপুর থানার এসআই তপন কুমার সিংহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ৩ এপ্রিল রাতে মণিরামপুরের বিজয়রামপুরের ভাইভাই রাইচ মিলে অভিযান চালিয়ে ৫৪৯ বস্তা সরকারি চাল ও একটি ট্রাক থেকে নামানোর সময় মিল মালিক আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ট্রাক চালক ফরিদকে আটক করেন। এই চালের কোন বৈধ কোন কাগজপত্র তাদের কাছে না থাকায় এসআই তপন কুমার সিংহ বাদী হয়ে কালোবাজারির মাধ্যমে চাল মজুদের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মণিরামপুর থানায় মামলা করেন। তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক শিকদার মতিয়ার রহমান আটক দুইজনকে আদালতের আদেশে ২ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে সোর্দ করেন। আদালতে তারা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। জবানবন্দিতে মণিরামপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু, শহিদুল ইসলাম, জগদিশ ও কুদ্দুসের সহযোগিতায় বিক্রি করে দেন। যা তদন্তে উত্তমসহ অন্য চারজনের নাম উঠে আসে। সে কারণে তদন্ত শেষে ওই ৬ জনকে অভিযুক্ত করে যশোর আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করেছেন সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক সোমেন দাস।
তদন্তে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, উক্ত ৫৪৯ বস্তা চাল ত্রানের। চালের বস্তার গায়ে লেখা ছিল শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ। ওই চাল ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম কুমার চক্রবর্তী বাচ্চু বেশি মুনাফার লোভে কালো বাজারির মাধ্যমে বিক্রি করে দেন। যান মূল্য ছিল ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। প্রথমে উত্তম কুমার ৪ লাখ টাকা নিয়েছেন পরে আরো ৮০ হাজার টাকা নিয়েছেন।