স্টাফ রিপোর্টার: যশোর শহরের জেসটাওয়ারের সামনে থেকে বোমা ফাটিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে ১৭ লাখ টাকা ছিনতাই ঘটনার সাথে জড়িত ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় উদ্ধার করা হয়েছে ছিনতাই হওয়া ২ লাখ ৪৮ হাজার ৫শ টাকা। এ ছাড়া ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ২টি চাকু, একটি ব্যাগ ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত যশোর শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের আটক ও ছিনতাইকরা টাকা উদ্ধার করা হয়। আটককৃতরা হলো, শহরের পুলিশ লাইন টালিখোলা এলাকার শফি দারোগার বাড়ির ভাড়াটিয়া টিপু, বারান্দি মোল্লা পাড়ার রবিউল ইসলামের ছেলে সাইদ ইসলাম, ধর্মতলা হ্যাচারি পাড়ার রুহুল আমিনের ছেলে বিল্লাল হোসেন, সিটি কলেজ পাড়া (ব্যাটারি পট্টি) নিজাম উদ্দিনের ছেলে রায়হান এবং পূর্ববারান্দি পাড়ার মৃত মুফতি আলি হোসেনের ছেলে ইমদাদুল হক।
বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান পুলিশ সুপার আশরাফ হোসেন। তিনি বলেন, যারা এই ছিনতাই কাজে জড়িত তারা সবাই সমাজের চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তাদের প্রত্যেকের নামে থানায় বিভিন্ন অপরাধের মামলা রয়েছে। ঘটনার পর ঘটনাস্থলের সিসি টিভির ফুটেজ এবং প্রযুক্তির ব্যবহার করে আসামিদের শনাক্ত করা হয়। তারপর পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সমন্বয়ে অভিযান চালিয়ে শহরের ধর্মতলা, বসুন্দিয়া, আলাদিপুর, বারান্দিপাড়া, সিটি কলেজ পাড়া ও পুলিশ লাইন টালিখেলা এলাকায় একাধিক অভিযান চালিয়ে জড়িতদের আটক করা হয়। আটকের পর তাদের কাছ থেকে ২ লাখ ৪৮ হাজার ৫শ টাকা এবং ছিনতাইকাজে ব্যবহৃত ২ চাকু, একটি ব্যাগস ও মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়।
পুলিশ সুপার আরো জানান, আটককৃতরা শহরের মণিহার এলাকায় চলাফেরা করে। ঐ এলাকাতেই মোটরপার্টস ও ফলের ব্যবসা করেন এনামুল হক। তাদের কাছ থেকেই ১৯ সেপ্টেম্বর এরা টাকা ছিনতাই করে। জড়িত অন্যদেরকেও আটক করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাউদ্দিন শিকদার অতিরিক্ত সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ অপু সরোয়ার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) তৌহিদুল ইসলামসহ জেলা পুলিশের অন্যান্য উদ্ধর্তন কর্মকর্তারা।