শার্শা প্রতিনিধি:যশোরের শার্শা উপজেলা সদরের সাব রেজিস্টার অফিসের সামনে’র মদীনা হোটেলে মরা গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীর ভাষ্য অভিযোগ, শার্শা সদরের মদিনা হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট (প্রোঃ ইসমাইল হোসেন) ২৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবারে তার হোটেলে এক রোগাক্রান্ত মরা গরু জবাই করে রান্না মাংস বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় অনেকে অভিযোগে জানান, মুকুল নামে ইসমাইল এক ভাই হোটেলের ভিতরে মরা গরু জবাই করে তার মাংস করছিলো। বিষয়টি স্থানীয়রা টের পেলে হোটেলটি খোলা রেখে সবাই পালিয়ে যায়। সুত্রে জানা যায়, শার্শা লাইনপাড়া’র পাতাসী নামের এক নারীর কাছ থেকে হোটেল মালিক ইসমাইলের ভাই, মুকুল ও আওয়ালের জামাই অসিম, একটি গরু নিয়ে এসে তাদের হোটেলের ভিতরে মরা গরু জবাই করে গভীর রাতে তার মাংস কাটাকাটি করে এবং এরপর সকাল বেলা অবশিষ্ট মাংসের হাড় স্থানীয় কসাই কাদের এর কাছে কোপানোর/কাটাকাটি’র জন্য নিয়ে যায়। কিন্তু ওই সময় যারা উপস্থিত ছিলো এবং দেখেছে তাদের বক্তব্য উক্ত মাংসের হাড়ের থেকে পচা দূরগন্ধ বের হচ্ছিলো। এসময় কসাই অপারগতা প্রকাশ করে বলে এইসব নিয়ে যা আমি কাটতে পারবো না। এলাকাবাসী চলে এলে পরে কসাই কি করেছে উপস্থিত এলাকাবাসী কিছুই আর জানতে পারেন নি। এদিকে ইসমাইল বলেন, তার ভাই হোটেল গরু জবাই করেছে এটা সঠিক তবে মরা গরু না ওটা জীবিত গরুটি ছিলো, পাতাসী’র কাছ থেকে গরুটি কিনে এনেছে। আমি হোটেলটি মুকুলের কাছে লিজ দিয়েছিলাম। এই বিষয়ে জানতে পাতাসীর কাছে গেলে সে জানায়, গরুটি কোন মরা গরু ছিলো না, গরুটি গাভীন গরু তার একটা বাছুর (বাচ্ছা) আছে। গরুটা হাটা চলা করতে পারতো না অনেকদিন ধরে অসুস্থ ছিলো। এমতাবস্থায় মুকুল ও আওয়ালের জামাই ২/৩ দিন আমার বাড়িতে এসেছে গরুটি কিনবে বলে কিন্তু আমি বেচতে চাইনি হটাৎ আর গতকাল এসে তাকে চার হাজার টাকা দিয়ে অসুস্থ গাভীন গরুটি তার বাড়িতে জবাই করে নিয়ে যায়। আবার পরেরদিন এসে তার কাছ থেকে আবার দেড় হাজার টাকা ধার করে নিয়ে গেছে পরে ফেরত দিবে এই বলে নিয়ে গেছে। স্থানীয় এলাকাবাসী আরো জানান, তারা প্রভাব শালীদের ম্যানেজ করে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। সরেজমিনে দেখা গেছে উক্ত হোটেলটি বন্ধ রয়েছে। মন্তব্য করে স্থানীয়রা আরো বলেন, যদি মরা গরু না হবে তাহলে গভীর রাতে কেন পাতাসীর বাড়িতে জবাই করে সেই রাতে কেন খুবই গোপনে হোটেলে কেন কাটাকাটি করা হলো? তারা তো পারতো পাতাসীর বাড়িতে জবাই করে বা হোটেলে জবাই করে সবার সামনে সেটাকে কাটাকাটি করতো? তাহলে তো কাররই সন্দেহ থাকতো না। এদিকে শার্শায় আরো দেখা গেছে এবং অভিযোগ শার্শার অনেক কসাই শেষ রাত্রের ঘোর ভোরবেলা অন্য জায়গা থেকে মাংস নিয়ে এসে বিক্রয় করে। এই মাংস গুলোকতটুকু মানসম্মত কি না তার কোন পরীক্ষা নিরীক্ষা করার ব্যবস্থা নাই, আমরা কিসের মাংস খাচ্ছি সেটা আমরা নিজেরাও জানি না। এবিষয়ে শার্শা ইনচার্জ (ওসি) বদরুল আলমের কাছেজানতে চাইলে তিনি বলেন অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি কেউ অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেবো। এবিষয়ে শার্শা উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসনা শারমিন মিথি কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এই ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা এদিকে গোপন সুত্রে জানা গেছে উক্ত মাংস কিছু রান্না করেছিলো আরো কিছু মাংস তাদের বাড়িতে ফ্রিজে রাখা আছে।অপেক্ষা করুন পরবর্তীতে আরো নিউজ আসছে।