বিএনপির হামলার আশঙ্কায় মানুষ ভোটকেন্দ্রে যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ৬ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভায় সদ্য সমাপ্ত ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
এ সময় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘২০১৪ সালে নির্বাচন বানচাল করতে ৫০০ ভোট কেন্দ্র জ্বালিয়ে দিয়েছিল বিএনপি। প্রিজাইডিং অফিসারসহ নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেককে হত্যা করেছিল। ভোটারকে হত্যা করেছিল। সুতরাং তারা যখন ঘোষণা দেয় নির্বাচন আন্দোলনের অংশ তখন মানুষ সেই হাঙ্গামার আশঙ্কার করণে ঢাকা সিটি নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে যায়নি।’
ড. হাছান মাহমুদ আরো বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিএনপি সারাদেশে ব্যাপক নাশকতা সৃষ্টি করেছিল। এবারো তারা নির্বাচনে অংশ নিয়ে বলে, নির্বাচনে অংশ নেয়া তাদের আন্দোলনের অংশ। বিএনপির আন্দোলন সম্পর্কে মানুষ জানে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ঢাকা সিটি নির্বাচন ভাল হয়েছে। উপমহাদেশের মানদণ্ডে বিচার করলেও বলতে হবে এটি একটি ভাল নির্বাচন হয়েছে। আমরা অতীতে দেখেছি যখনই স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়, তখনই হাঙ্গামা হয়, কেন্দ্র দখল, সিল মারা হয়। এই নির্বাচনে কোন সিলমারা হয়নি। হাঙ্গামা হয়নি।’
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘ঢাকা সিটির নির্বাচনে উত্তর সিটিতে ২৫ শতাংশ, দক্ষিণে ২৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও এমনই ভোট পড়ে। সেই হিসেবে বললে এই ভোটও একেবারে কম নয়।
এ সময় বিএনপির সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করছে, ইভিএম মেশিনে নাকি রাতভর ভোট দেয়া হয়েছে। সেই সুযোগ থাকলে ভোট ২৫ শতাংশ হতো না, ৬০ ভাগই হতো। ইভিএম মেশিনে চুরি করা যায় না। ইভিএম নিজেই প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং এজেন্ট এর মত কাজ করে।’
উক্ত প্রতিনিধি সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন। এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, আওয়ামী লীগের সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, বেগম আখতার জাহান, ড. মেরিনা জাহান, সাংসদ এনামুল হক, সাংসদ আয়েন উদ্দীন, সাংসদ ডা. মনসুর রহমান ও সাংসদ আদিবা আনজুম মিতাসহ আরো অনেকে