কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি: কেশবপুরে এক সপ্তাহ ব্যবধানে ৪৫ টাকার পেঁয়াজ এখন ৬০টাকা কেজি দরে বিত্রিু হওয়ায় বিপাকে পড়েছে নিন্ম আয়ের মানুষ। পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়া অনেক ত্রেুতা অল্প পেঁয়াজ কিনে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন বলে দেখা গেছে। সেই সাথে বেড়েছে কাঁচা ঝালের দাম।
কাঁচা তরকারী রান্নার ক্ষেত্রে পেঁয়াজ আর কাঁচা ঝালের প্রয়োজন হয়ে থাকে বেশি। আর সেই দুটি জিনিসের আকাশ ছোয়া দাম বেড়েছে। বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা রং মিন্ত্রি আলাউদ্দিন,ব্যবসায়ী কার্ক্তিক চন্দ্র,গণি মোড়ল,মফিজুর রহমান,মনিরুল ইসলাম বৃদ্ধা আমেনা বেগম সহ অনেকেই সাংবাদিকদের জানান,গত বুধবার বাজারে পেঁয়াজের কেজি ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। কিন্ত এক এক সপ্তাহ ব্যবধানে ৪৫ টাকার পেঁয়াজ এখন ৬০টাকা কেজি দরে বিত্রিু হচ্ছে ৬০ টাকা দরে। রং মিন্ত্রি আলাউদ্দিন জানান, সারাদিন শ্রম দিয়ে ৩শত থেকে ৪শত টাকা পায় তা দিয়ে চাল,ডাল কাঁচা তরকারী কিনার পর আর টাকা থাকে না। এর পর আবার পেঁয়াজ আর কাঁচা ঝালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। মাঠে শ্রম দেওয়া রহিম জানান.এত দাম বেশি হলে কি করে পেঁয়াজ কিনবো। তবুও কি করা পেঁয়াজ না কিনলে কাঁচা তরকারী ভালো লাগে না।তাই বেশি কিনতে না পারলেও স্বল্প কিনতে হচ্ছে। বুধবার দুপুরে কেশবপুর শহরের পুরানো গরুহাট কাঁচা বাজার ও বড় কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা ও জানা গেছে গত সপ্তাহে যে পেঁয়াজ বাজারে ৪৫ টাকা দরে বিত্রিু হতো এখন তা ৬০ টাকা কেজি দরে বিত্রিু হচ্ছে। ভ্রাম্যমান আদালত, জেল-জরিমানার মত কঠোর আইন প্রনয়ন করেও কোন ভাবেই যেন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছেনা। হু-হু করে বাড়ছে জিনিস-পত্রের দাম বেড়েই চলেছে। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন মাঝে মাঝে বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজ কাঁচা ঝালসহ বাইরে থেকে না আসায় দাম বেড়ে গেছে। এদিকে বেড়েছে চাল,ডাল,মাছ,মাংস মুরগি, ডিম ও জিরা মসলার দাম। তবে ক্রেতারা বলছেন সেই সাথে লাগামহীন ভাবে বাড়ছে চলেছে নিত্যপ্রযোজনীয় দ্রব্যের মূল্য। ক্রয় ক্ষমতার বাইরে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে নিন্ম আয়ের মানুষেরা। পেঁয়াজের দ্রব্যের মুল্য বাড়ার ব্যাপারে ব্যবসায়ীরা বলেন, বিশেষ করে ঘুর্নিঝড় আম্ফান ও মাঝে মাঝে মুষলধারার বৃষ্টির ফলে কাঁচা তরিতরকারীর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়া করোনার কারনে বাইরে থেকে পেঁয়াজ সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কম আসার কারনে কেশবপুরে চাহিদার তুলনায় দ্রব্যের মজুত কম থাকায় জিনিস পত্রের দাম বাড়ছে।