স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) সাবেক কর্মকর্তা ও সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদ্ঘাটন করা হবে। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের কেউ পার পাবে না।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র ক্রীড়া সংগঠক মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ কামালের ৭১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর বাসভবন থেকে ব্রিফিং শেষে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। এর আগে রাজধানীর ধানমন্ডির আবাহনী ক্লাব প্রাঙ্গণে শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দসহ পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন তিনি।
ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ কামাল ছিলেন দূরদর্শী ও গভীর চিন্তাবোধের অধিকারী। খেলাধুলা ও সংস্কৃতিচর্চার পাশাপাশি তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সংগঠিত বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নিবেদিতপ্রাণ যুবক। জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বের মধ্যেই শেখ কামালের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি বিভাসিত।
এর আগে বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত শেখ কামালের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনসহ আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে অংশ নেন সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদক।
শেখ কামালকে যুব–তারুণ্যের অহংকার হিসেবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তিনি ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকারের প্রতি সর্বদা শ্রদ্ধাশীল। রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানের পুত্র হয়েও অত্যন্ত সাদাসিধে জীবন যাপন করতেন। ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থেকেও শেখ কামাল ছিলেন নির্লোভ ও নির্মোহ।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান প্রজন্মের কাছে শেখ কামাল অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব হলেও স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি ও দেশবিরোধী চক্র জাতির পিতার পরিবার নিয়ে গোয়েবলসীয় কায়দায় বারবার মিথ্যাচার করে জনমানসে এক ভ্রান্ত প্রতিচিত্র আঁকার অপচেষ্টা করেছে। কিন্তু প্রকৃতির নিয়মে সত্য তার নিজস্ব শক্তি নিয়ে উদ্ভাসিত হয়। তিনি বলেন, অভিজ্ঞতায়, স্মৃতিতে এবং অনুভূতিতে শেখ কামাল চির অম্লান প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, খুনিরা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ কামালকে হত্যার মধ্য দিয়ে শুধু প্রতিশ্রুতিশীল তারুণ্য বা যুব অহংকারকেই হত্যা করেনি, হত্যা করেছিল ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের এক সম্ভাবনাময় নেতৃত্বকে। তিনি বলেন, বাঙালির হৃদয়ে শেখ কামালের প্রতিচ্ছবি চিরজাগরুক।