স্টাফ রিপোর্টারঃ কেশবপুরের বরণডালি গ্রামের শেখ শওকত আলী হত্যা মামলায় আট জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পিবিআই। মামলার তদন্তকালে আটক দুই আসামির দেয়া তথ্য ও স্বাক্ষীদের বক্তব্য যাচায় বাছায় করে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা কর্মকর্তা পরিদর্শক শেখ মোনায়েম হোসেন। । চার্জশিটে অভিযুক্ত রেজা হাসান সবুজ ও মাসুদুর রহমান বাদে সকল আসামিকে পলাতক দেখানো হয়েছে। অভিযুক্ত আসামিরা হলো কেশবপুরের বরনডালি গ্রামের আজিবর গাজীর ছেলে আইয়ুব আলী, মৃত সুরত আলী সরদারের ছেলে মাসুদুর রহমান মাসুদ, জিয়াউল ইসলামের ছেলে ইব্রাহিম হোসেন সানা, মাসুদুর রহমানের ছেলে শরীফ সরদার, আইয়ুব আলীর ছেলে রায়হান কবির, মৃত আবুল কালাম সানার ছেলে সোহানুর ওরফে হৃদয়, মশিউর রহমান গাজীর ছেলে রেজা হাসান সবুজ ও পারখাজুরা গ্রামের ওয়েজেদ মোড়লের ছেলে ফারুক হুসাইন। মামলার অভিযোগে জানা গেছে, শেখ শওকত আলীর বাগানের আম ১ লাখ ২৫ হাজার টাকায় কেনেন আইয়ুব আলী ও মাসুদ সরদার। ৫ হাজার টাকা বাকি রেখে তারা আম পাড়তে থাকে। তাদের কাছে পাওনা পাওনা ছিল ৫ হাজার টাকা। ২০১৯ সালের ৩ জুন আইয়ুব আলী ও মাসুদ লোকজন নিয়ে শেষ বারের মত আম পাড়তে আসে। এ সময় পাওনা টাকা না দেয়ায় শওকত আলী ও তার দুই ছেলে তাদের আম পাড়তে বাধা দেয়। কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে আমপাড়া লগি দিয়ে শওকত আলীকে মারপিট করে আসামিরা। একপর্যায়ে শওকত আলী মাটিতে পড়ে গেলে আসামিরা পালিয়ে যায়। এরমধ্যে পল্লী চিকিৎসককে নিয়ে আসালে শওকত আলী মারা গেছে জানান। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার নিহতের ছেলে শেখ আবুল হোসেন বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখসহ অপরিচিত ৩/৪ জনকে আসামি করে কেশবপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ পরে পিবিআই তদন্তের দায়িত্ব পায়।