অফিস ফাঁকি বাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা ইউএনও মণিরামপুর
সাকিব মোঃ রাব্বি: সারা বিশ্ব আজ করোনায় আক্রান্ত। প্রতিদিন ই হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে করোনায়। মৃত্যু বরণের তালিকাটা ও কম নয়। সারা বাংলাদেশকে আজ গ্রাস করেছে করোনা নামক মহামার্ িযার কারনে হুট করেই থমকে যায় স্বাভাবিক জীবণ যাত্রা। হটৎ করেই মার্চ ২৫ তারিখ থেকে শুরু হয় সাধারন ছুটি। সরকারি বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠান ই বন্ধ ঘোষনা করা হয় করোনা মহামারির কারণে। তার ই ধারণাবাহিকতায় যশোরের মনিরামপুরের অফিস পাড়ার সকল কার্যক্রম ও বন্ধ হয়ে যায় সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী। কিন্তু করোনা মহামারি নামক দূর্যোগ মকবেলায় অফিসার গণের ছুটি বাতিল করা হয় এবং দূর্যোগ মকাবেলায় ট্যাগ অফিসার হিসাবে ১৭ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভার ত্রাণ সকল দূর্যোগ মোকাবেলার কাজে লাগিয়ে দেয় প্রশাশন এভাবেই চলতে চলতে জনপ্রাশান মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন জারি করেন যে রমযানের ঈদের আগেই সকল অফিসার আদালত খুলবে কিন্তু সিমীত আকারে। তার ই ধারাভাহিকতায় চলতে থাকে কার্যক্রম কিন্তু দিন দিন করোনা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার কারনে বিগত প্রজ্ঞাপন পরিবর্তন করে নতুন একটি প্রজ্ঞাপন প্রদান করেন যে সীমিত আকারে অফিস পরিচালনা সহ যারা অসুস্থ,বৃদ্ধ,গর্ভবতী তারা যনে অফিস এ না আসে এবং প্রত্যেক অফিসে যেন পর্যপ্ত পরিমাণ জীবাণুনাশক সহ সামজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে ।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সকল সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীগণকে সকাল ৯ টাই অফিসে আসার নিয়ম আছে যে নিয়ম গতানুগতিক ভাবেই চলে আসছে কিন্তু দৈনিক প্রতিদিনের কণ্ঠের চোখে উঠে এসেছে তার উল্টো চিত্র। দৈনিক প্রতিদিনের কন্ঠের একটি টিম দীর্ঘ এক সপ্তাহ যাবত যশোরের মণিরামপুরের অফিস পাঠায় ঘুরাঘুরি করে দেখছেন করোনা বা সরাকি নিয়ম কে বৃব্ধাআঙ্গুলী দেখিয়ে ইচ্ছা মতউ পরিচালনা করছেন তার দপ্তর অনেক অফিসার। ঠিক মত নিজে অফিস করা তো দূরে থাক মাঝে মাঝে সঠিক সময় অফিসে তাদের বেশিই ভাহ কর্মকতাকেই পাওয়া যায় না অফিসে। তার ই ধারাবাহিকতায় গতকাল ১২/০৭/২০ তারিখ মণিরামপুরের অফিস পাড়ায় ঘূরে দেখায়ায় ৯ টাই উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও ঘড়ির কাটা ১০ টা পার হলেও অনেক কে পাওয়া যাইনাই তার দপ্তরে।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জনাব মৌসুমি আক্তার তার অফিসে আসেন ঘড়ির কাটা ১০ টা পার করে তার অফিসের পিয়ন বাদে বাকি সকল কর্মচারী ও সঠিক সময় উপস্থিত হয় নি । এ বিষয় জনাব মৌসুমি আক্তারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান ,আমি সঠিক সময় অফিসে উপস্থিত থাকি মাঝে মধ্যে ব্যক্তিগত কারণে আসতে একটু বিলম্ব হয় কিন্তু আজ আমি অফিসে আসতে দেরি করেছি এটা ঠিক তবে আফিসে উপস্থিত হবার আগে আমি ইউএনও স্যারের অফিসে গেছিলাম মিটিং এ , এবং তার অফিসে জীবণুকাশক বা স্যনিটাইজেশনের ব্যবস্থা,তেমন লক্ষকরা যায়নি।
সমাজসেবা কর্মকর্তা ,রোকনুজ্জমান সঠিক সময় তার দপ্তরে উপস্থিত ছিলেন এবং তার অফিসের সকল কর্মচারীই সঠিক সময় উপস্থিত ছিলেন, এবং তার অফিসে জীবণুকাশক বা স্যনিটাইজেশনের ব্যবস্থা লক্ষণীয়। উপজেলা সার্ভার অফিসের নির্বচান কর্মকর্তা আগামী ১৪ তারিখ যশোর ৬ আসনে নির্বাচনের কারণে তিনি বর্তমানে সেখানে কর্মরত আছেন এবং তার অফিসে গেলে মাত্র এক জন কর্মচারীকে পাওয়া যায়। এবং তার অফিসে জীবণুকাশক বা স্যনিটাইজেশনের ব্যবস্থা তেমন লক্ষণীয় হয়নি।
একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের প্রকল্প কর্মকর্তা মৌসুমি সুলতানার সাথে দেখা করতে গেলে তার অফিসে তালা বদ্ধ পাওয়া যায় খোজ নিলে জানাযায় তিনি অফিসে আসেন নি এবং কোন বিষয়ে তার কোন কর্মকর্তা প্রতিদিনের কন্ঠের সাথে কথা বলতে রাজি হয় নি।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার শেহেলী ফেরদৌসি সঠিক সময় উপস্থিতি পাওয়া যায় নি এবং তার ১১ টি এটিও থাকলেও ২ জনের উপস্থিতি লক্ষকরা যায় তদের মধ্যে ১ জন ১০টাই অফিস এসেছেন আরেক ৯টাই অফিসে উপস্থিত হয়ে বাইরে কাজে চলে গিয়েছিলেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার শেহেলী ফেরদৌসির সাথে যোগাযোগ কারার চেষ্ঠা করলে ও যোগাযোগ করা যায় নি তার বিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন তিনি তার মিটিং এ উপস্থিত ছিলেন যার দরূন তিনি তার অফিসে উপস্থিত ছিলেন না। তার অফিসে জীবণুকাশক বা স্যনিটাইজেশনের ব্যবস্থা ও সামাজিক দূরত্ব লক্ষণীয়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকারের সাথে দেখা করতে গেলে তাকে তার অফিসে পাওয়া যায়নি এবং তার অফিসের ৬ জন কর্মচারীর মধ্যে মাত্র একজন কর্মচারী কে পওয়া যায় কিন্তু তিনিও অফিসে এসেছেন ১০ ঘটিকায়। কামরুজ্জমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন তার অফিস স্টাফ ও অফিসার তাদের ইচ্ছামত অফিসে আসেন এতে করে ভোগান্তিতে থাকেন উপকার ভোগীমানুষগণ। উল্লেখ্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে কিছুদিন আগে একজন করোন আক্রান্ত হন । তার অফিসে জীবণুকাশক বা স্যনিটাইজেশনের ব্যবস্থা ও সামাজিক দূরত্ব তেমন লক্ষণীয় না ।
উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসার ইব্রাহিম মিয়া (ভারপ্রাপ্ত) সাথে দেখা করতে গেলে তাকে তার অফিসে পাওয়া যায়নি। জৈনক কর্মচারীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন তার অফিস স্টাফ ও অফিসার তাদের ইচ্ছামত অফিসে আসেন।
সাব রেষ্টার শাহাজান আলী তিনি সপ্তাহে ৩ দিন অফিসে আসেন এমটি জানিয়েছেন তার অফিসের একজন স্টাফ। অপর দিকে তার অফিসের কোন স্টাফ ই কোন দিন সঠিক সময় অফিসে উপস্থিত থাকেন না। সরেজমিনে দেখা যায় সপ্তাহে তিনদিন উপস্থিত থাকলেও তিনি স্বাস্থ্যবিধীকে বৃদ্ধাআঙ্গুলী দেখিয়ে করোনা চাষ করছেন এমন টি মনে হয় সেখানে গেলে ।
কৃষি অফিসার হিরক চন্দ্র সরকার তিনি সঠিক সময় উপস্থিত না হলেও সকাল ৯.৪০ মিনিটে তাকে অফিষে পাওয়া যায়। তার মুখোমুখি হলে, আপনার আন্যান্য স্টাফদের কথা জানতে চাইলে ,স্টাফরা তখনো উপস্থিত হন নি। উপসহকারীদের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন,তারা হয়তো ফিল্ডে আছেন করোনার কারণে তারা মাঝে মাঝেই অফিসে উপস্থিত হন না।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিসে গেলে একটি ভিন্য চিত্র দেখা যায় সকাল ৯ টায় পিয়ন বাদে কনো কর্মকর্তা কর্মচারী উপস্থিত হন নি। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস রুমে তালা মারা থাকতে দেখাযায় যার করণে তার একজন অফিস সহকারী মিজানুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্যার ছুটিতে আছেন ,অপর জন সোরোওয়ার স্যার অফিসে এস সাইট পরিদর্শনে গেছেন।বেলা ২ টার পরে মুঠোফনে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সাথে কথা হলে তিনি জানান , ইউনও স্যারের জরুরী বার্তায় ছুটিতে থাকলেও কিছূ সাইট পরিদর্শন করেছি।
হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা আশিকুর রহমানের কার্যালয়ে সকাল ৯ টায় উপস্থিত হলে একজন অফিস সহকারী ছাড়া কাউকে উপস্থিত পাওয়া জাইনি। পরবর্তীতে হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা অফিসের একজন অডিটর এস,এম দাশ বলেন,স্যার অধিকাংশ সময় অফিসিয়াল কাজে ব্যস্থ থাকার কারণে যশোরে অবস্থান করেন।অপরদিকে লক্ষকরলে দেখাযায় হিসাব রক্ষণ অফিসে মানা হচ্ছে না কনো প্রকার সামজিক দূরত্ব মনে হচ্ছে যেন করোনা চাষ করছেন তারা।
উপজেলা প্রকৌশলী অফিসে গেলে জানাযায় যে উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় অফিসটি ঠিলেঠালা ভাবে চলছে।
উপজেলা সমবায় অফিসে গেলে সমবায় কর্মকর্তার অফিসটি ফাকা দেখা যায়। কর্মকর্তা নাছিমা খাতুন কোথায় আছেন কেউ বলতে পারেন না।
মৎস কর্মকর্তার অফিসে গেলে দেখা যায় ২ জন সহকারী মৎস কর্মকর্তা উপস্থিত থাকলেও অণ্যদের চোখে পড়েনি। জৈনক একজন কর্মকর্তা জানান উপজেলা মৎস কর্মকর্তা রিপন কুমার ঘোষ তার ইচ্ছা খেয়াল খুশি মত অফিস করেন ।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিসে গেলে অফিস টি ফাকা পড়ে থাকতে দেখা যায়। মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে খাদ্য নিয়ন্ত্রক মামুন হোসেন খান জানায়, যশোরে নতুন ডিসি ফুড স্যার যোগদান করায় সে অনুষ্ঠানে আমি আছি।
সার্বিক বিষয় নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ জাকির হাসান বলেন,করোনার কারনে হয়তোবা কিছু কর্মকর্তা অফিসে অনুপস্থিত ছিলেন,কিছু কর্মকর্তা আমার সাথে বিভিন্ন মিটিং এ ছিলেন। তার কাছে সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্য বিদি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান আমার পরিষদের সকল অফিসের পর্যাপ্ত পরিমাণ জীবাণুনাশকের ব্যবস্থা আছে এবং সকল দপ্তরই সামাজিক দূরত্ব মেনে তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছেন তবে তার মধ্যে কিছূ অফিসে ত্র“টি থাকলেও অচিরে তা ঠিক করা হবে এবং কোন অফিসার যধি সরকারি নিয়ম লঙ্ঘন করে থাকে তবে সে দায়ভার অবশ্যই তার নিজের।