মোঃ হাসিবুল হাসান
এই সেই দিন
এই সেই মুহূর্ত
এই সেই বিজয়
যেদিন আকাশ-বাতাস আলোড়িত করে
সংগ্রামের ডাক দিয়েছিলেন বাঙালির প্রাণের নেতা,
সেদিন শুরু হয়েছিল রক্তের কালিতে লেখা
বাঙালি জাতির নতুন অধ্যায়।
রক্তের কালিতে মুখরিত বাঙালি জাতির শেষ অধ্যায়।
যেদিন ঘাতকের পদচিহ্ন পড়েছিল বাংলার বুকে-
বাঙালির প্রাণ জুড়োবে হানাদারদের রুখে।
কিসের অস্ত্র? কিসের সজ্জা?
অগ্নিস্নাত বাঙালির প্রতিটি প্রশ্বাস
সাহস, দৃঢ়তা, আত্মপ্রত্যয়, প্রতিশোধস্পৃহা আর
হাতই তাদের চরম হাতিয়ার।
ভুলিনি আজও ২৫শে মার্চের সেই
ভয়াল কালোরাত।
ভুলিনি আজও হানাদারদের সেই
নির্মম অত্যাচার।
ভুলিনি আজও (আমি) ছোট্ট রাসেলের সেই
কাতরতার সুর।
ভুলিনি আজও হাজারো করুণ নিষ্পাপ মানবতার
আর্তনাদের ঘ্রাণ।
ভুলিনি আজও ফুলের মতো ঝরে পড়া
অগণিত প্রাণ।
অত্যাচার আর নির্মমতার পাহাড় পড়েছে ঝরে।
কিন্তু বাঙালি হার মানতে শেখেনি,
আর মানবেনা কোনোদিনও।
রক্তের লোহিত সাগরে ৩০লক্ষ প্রাণের জোয়ার।
এসেছে বহু প্রতিক্ষীত ‘স্বাধীনতা’ যাকে বরণ করতে
দাঁড়িয়ে দুয়ারে সন্তানহারা মা।
ভাইহারা বোন।
ছেলেহারা পিতা।
ও স্বামীহারা গৃহবধূ।
সেই বিজয়ের সাথে মিশে আছে কোটি প্রাণ
মিশে আছে এক পথিকৃৎ বালক-
নাম তাঁর বঙ্গবন্ধু, মিশে থাকবে চিরতরে।
কেননা ১৫ই আগস্টের একটি রাত কি কেড়ে নিতে পারে
গোলাপ থেকে তার সুবাসকে?
বঙ্গভূমি থেকে বঙ্গপিতাকে?
বাঙালির কাছ থেকে তাদের অদম্য প্রেরণাকে?
না, পারে না।
তাইতো বিশ্বের বুকে চির-অমর সেই মহান কবি।
বিশ্বের বুকে অবিস্মরনীয় তার
অমর রচনা
শ্রেষ্ঠ রচনা
“স্বাধীনতা সংগ্রাম”