আব্দুল্লাহ আল হাসিব, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মণিরামপুরে একদিনে সর্বাধিক ১৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শুক্রবার (১০ জুলাই) সকালে ও বিকেলে যশোর সিভিল সার্জন অফিস থেকে পৃথকভাবে এই তথ্য জানানো হয়।
আক্রান্তদের মধ্যে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (সেকমো), মণিরামপুর পৌরশহরের মাধ্যমিক স্তরের এক স্কুল শিক্ষক, ব্রাকের কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসের এক স্টাফ রয়েছেন।
মণিরামপুর উপজেলা স্বস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. অনুপ কুমার বসু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ডা. অনুপ বসু বলেন, গত বুধবার (৮ জুলাই) মণিরামপুর হাসপাতাল থেকে ১২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোম সেন্টারে পাঠানো হয়। আজ ১০জুলাই (শুক্রবার) সকালে তাদের মধ্যে চারজনের ও ঢাকা থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজের মাধ্যমে নয় জনের পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। ঢাকা থেকে পজেটিভ রিপোর্ট আসা ব্যক্তিরা বেশ আগে বিভিন্ন হাসপাতালে নমুনা দিয়েছিলেন বলে জানা যায়।
শুক্রবার নতুন পজেটিভ রিপোর্ট আসা ১৩ জন হলেন, মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (সেকমো) ইফতেখার রসুল, মণিরামপুর পৌরশহরের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মনিরুজ্জামান মনির, উপজেলা ব্রাক অফিসের কর্মকর্তা বিনয় অধিকারী, উপজেলা শিক্ষা অফিসের স্টাফ তাসলিমা বেগম, পৌর এলাকার গাংড়া গ্রামের রবিন্দ্রনাথ মণ্ডল, মণিরামপুর গ্রামের সংকর ব্যানার্জি, মোহনপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম, তাহেরপুর এলাকার আব্দুস সালাম ও আব্দুর রহিম, কামালপুর গ্রামের ইউসুফ আলী, সালামতপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম, দেবিদাসপুর গ্রামের নিজাম হোসেন ওরুফে মধু নিজাম এবং কেশবপুর এলাকার এনজিও কর্মী মিজানুর রহমান।
আক্রান্তদের মধ্যে সংকর ব্যানার্জি এক সপ্তাহ ধরে মণিরামপুর হাসপাতালে আইসোলেশনে ভর্তি আছেন। বাকিরা নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নতুন আক্রান্তদের বাড়ি লকডাউনের জন্য প্রশাসনকে তালিকা পাঠানো হয়েছে বলে জানান ডা. বসু। করোনা পরীক্ষার জন্য বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মণিরামপুর হাসপাতাল থেকে ৩৪৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এছাড়া যশোর জেনারেল হাসপাতাল ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এই অঞ্চলের অনেকেই নমুনা দেন। এই পর্যন্ত এই উপজেলায় ৫৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে; যাদের ৩২ জন ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।