স্টাফ রিপোর্টারঃ কোভিড-১৯ ভাইরাসে যশোরে নতুন করে একজন নারী চিকিৎসকসহ আরো ৮ জন আক্রান্ত ও ১ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে যশোর সিভিল সার্জন ডাক্তার শেখ আবু শাহীন। গত ২৪ ঘন্টায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের জেনোম সেন্টার থেকে ২০টি নমুনার রিপোর্টে ৮টি পজিটিভ আসে। এর মধ্যে যশোরে চৌগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক হাবিবা সিদ্দিকা ফোয়ারাসহ চৌগাছায় ৫জন এবং যশোর সদর উপজেলায় ৩জন রয়েছেন। অপরদিকে, অভয়নগর উপজেলার বিমলেন্দু চক্রবর্তী (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের করোনা উপসর্গ পাওয়া গেছে মৃত্যুর পর। উক্ত বৃদ্ধের শরীর থেকে গত ২১ জুন মৃত্যুর পর তার বাড়ি হতে নমুনা সংগ্রহ করা হলে পরবর্তীতে তার শরীরে করোনা উপসর্গ পাওয়া যায় বলে ২৮ জুন যশোর সিভিল সার্জন অফিস থেকে নিশ্চিত করে যশোরে করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর তালিকায় ৯ দাঁড়ায়। ২৮ জুন নতুন করে ৮ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত সংখ্যা দাঁড়ায় ৫১৬জন। এর মধ্যে চিকিৎসক,সেবিকা ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সংখ্যা ৭৬জন। মোট আক্রান্ত রোগীর মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন, ১শ’ ৬২জন।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে আরো বলা হয়েছে,গত ১০ মার্চ থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত যশোর জেলা থেকে ৩ হাজার ৮শ’ ৬৬টি নমুনা সংগ্রহ করে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের জেনোম সেন্টার ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে পাঠানো হলে ৩ হাজার ৫শ’ ২৪টি রিপোর্ট পাওয়া যায়। বাকী পেন্ডিং রয়েছে ৩শ’ ৪২টি। ২৮ জুন যশোর জেলা থেকে ফলোআপ ২৩টি সহ ১শ’ ১৬টি নমুনা সংগ্রহ করে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে সিভিল সার্জন অফিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। অপরদিকে, যশোর জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশনে একজনের মৃৃৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) জেনোম সেন্টার ২৮ জুন রোববার ৬৮টি নমুনা পজেটিভ রেজাল্ট দিয়েছে। মোট ২১৭টি নমুনা পরীক্ষা করে এই ফলাফল পাওয়া যায়। এর মধ্যে যশোরে ২০টি নমুনার মধ্যে ৮টি পজেটিভ এসেছে। এছাড়াও ২৮ জুন রোববার সকালে করোনা উপসর্গ নিয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশনে হারুন (৬৫) নামে একজনের মৃৃৃত্যু হয়েছে। করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃৃৃত্যুর বিষয়টি হাসপাতালের আর এম ও ডা. আরিফ আহম্মেদ নিশ্চিত করেন। তিনি জানান,২৮ জুন রোববার ভোর সাড়ে ৫ টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে হারুণ নামে এক বৃদ্ধ হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি হয়। এবং সকাল সাড়ে ৮ টায় তার মৃৃৃৃত্যু হয়। তার বাড়ি শহরের ঘোপ এলাকায়। নমুনা শ্যাম্পল সংগ্রহ করে স্বাস্থ্য বিধি মেনে দাফনের জন্য পরিবারেব নিকট মরদেহ দেওয়া হয়েছে। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এনএফটি বিভাগের চেয়ারম্যান ও পরীক্ষণ দলের সদস্য ড. শিরিন নিগার সংবাদিকদের জানান, রোববার ২৮ জুন তাদের জেনোম সেন্টারে যশোরের ২০টি নমুনা পরীক্ষা করে ৮টি পজেটিভ বলে শনাক্ত করা হয়েছে। এছাড়া মাগুরার ৮৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ২২টি, বাগেরহাটের ৬৪টির মধ্যে ২৩টি এবং সাতক্ষীরার ৪৯টির মধ্যে ১৫টি নমুনা পজেটিভ ফল দেয়।
পরীক্ষা সংক্রান্ত সব তথ্য সংশ্লিষ্ট সিভিল সার্জনদের কাছে পাঠানো হয়েছে। সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানান,যশোরে প্রাপ্ত তথ্যের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ঠিকানা খুঁজে বের করে বাড়ি লক ডাউনসহ অন্যান্য কার্যক্রম করবে স্থানীয় প্রশাসন।