শুভ আকবর-চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে চট্টগ্রাম মহানগরীর ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডকে রেড জোনের আওতায় এনে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার মধ্যরাত থেকে ২১ দিনের জন্য অবরুদ্ধ থাকবে বন্দর নগরীর এ এলাকাটি।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা এ তথ্য জানিয়েছেন।
চট্টগ্রাম মহানগরীতে ১০টি ওয়ার্ডকে গত সোমবার রেড জোন ঘোষণা করার পর সেগুলোকে পর্যায়ক্রমে লকডাউনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন করোনা প্রতিরোধ কমিটির নেতারা।
তারা বলেন, কমিটির সাথে প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। সরকারিভাবে ১০টি ওয়ার্ডকে রেড জোন ঘোষণা করায় সবগুলোকে পর্যায়ক্রমে লকডাউন করা হবে।
এর আগে, রবিবার নগর ভবনে সিটি করপোরেশনের সাথে প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
অথচ লকডাউনের প্রথম প্রহরেই সব বিধি ভেঙে রেডজোন এলাকায় প্রবেশ করছেন হাজার হাজার গার্মেন্টস কর্মী। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতে মেয়র এসে এলাকার ১৪ টি প্রবেশপথের সবগুলো বন্ধসহ লকডাউন করেন উত্তর কাট্টলি ওয়ার্ড। প্রায় এক সপ্তাহ আগ থেকে এলাকায় এ নিয়ে মাইকিং-লিফলেট দেয়া হচ্ছে। কিন্তু প্রথম দিনই লগডাউন মানা হচ্ছে না। সকালে সারা শহর থেকে হাজার হাজার গার্মেন্টসকর্মী লকডাউন করা রেডজোনে প্রবেশ করেছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, অবাধে হাজারও বহিরাগত এলাকায় প্রবেশ করলেও তখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা সিটি করপোরেশনের কাউকে দেখা যায়নি।
অন্যদিকে লকডাউন কার্যকরের পরেও উত্তর কাট্টলি ওয়ার্ডের ভেতরে থাকা শিল্প এলাকা ও ১৪টি গার্মেন্টসের কোনোটি বন্ধ রাখা হয়নি।
এলাকার একজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, ‘চট্টগ্রাম শহরে প্রথম দিকে করোনা সংক্রমিত হয় উত্তর কাট্টলি ওয়ার্ডে। একজন গার্মেন্টসকর্মী থেকেই এখানে করোনা সংক্রমণের শুরু হয়। যার ফল ভোগ করছেন এলাকাবাসী। অথচ এখন এলাবাসীকে ঘরে রেখে গার্মেন্টসকর্মীদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দিয়ে এ কেমন লকডাউন?’
উত্তর কাট্টলী ছাড়া নগরীর আরও নয়টি ওয়ার্ডকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যেগুলোতে পর্যায়ক্রমে লকডাউন কার্যকর করা হবে।
লকডাউনে মুদি, ওষুধ, নিত্যপণ্যের বাজার ও দোকান বন্ধ থাকবে। তবে জোন কমিটি তা হোম ডেলিভারি দেবে। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানও হোম ডেলিভারি দেবে। লকডাউন এলাকায় কোনো বস্তি থাকলে তাদের জন্য খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। একই এলাকায় আকস্মিকভাবে কোনো লোক কর্মহীন হলে তাকেও খাদ্য সরবরাহ করতে হবে। তবে কোনো ব্যক্তি ওএমএস, মানবিক সহায়তা বা অন্য কোনো সামাজিক সহায়তা কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত থাকলে তিনি ত্রাণ সহায়তা থেকে বাদ যাবেন।