আজিজুর রহমান, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি: কেশবপুরে হালখাতার হিড়িক হয়ে দাঁড়িয়েছে। সময়ের হিসেবে বাংলা নতুন বছর কবেই চলে গেছে ।
কিন্তু হালখাতায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনার প্রকোপ। লকডাউন চলায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বের হওয়ায় মানা ছিলো। পরিস্থিতির ঘেরাটোপে চার ভাঁজ করা জমা খরচের খতিয়ান খাতার বদলে, কম্পিউটারের ফাইলে সেভ করে রাখাকেই সুবিধাজনক মনে করছেন ছোট-বড় ব্যবসায়ীরা। করোনার জেরে তাই দোকানে এসে লাল খাতা কেনার সাহস দেখাচ্ছিলেন না কেও। ব্যবসায়িক হিসেব, শেয়ারের উঠানামা সবকিছুকে ছাপিয়ে এখন করোনায় সর্তকতা আর সচেতনতাকে আশ্রয় করেছে শহরবাসী।
যেখানে লকডাউনের কারণে সাধারণ জনগন ঘর থেকে বাইরে যেতে পারেননি, দেশের এই করোনা পরিস্থিতির ভিতরে প্রতিটি মানুষ যেখানে বেঁচে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে সেখানে কেশবপুর উপজেলার দোকানে দোকানে হাতখাতার হিড়িক পরে গেছে। অধিকাংশ দোকানের হাতখাতার কার্ড গ্রাহকের বাড়ি বাড়ি পৌছে গেছে। আর এই বিপদকালে হালখাতার চিঠি দেখে সাধারণ জনগণের মধ্যো একটি আতংক বিরাজ করছে।
সাধারণ জনগনের সাথে কথা বলে জানতে পারে, বর্তমান করোনা পরিস্থিতে উপজেলার প্রান্তিক পর্যায়ের ক্ষুদ্র আয়ের মানুষরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বেকার হয়ে পড়েছে বহু মানুষ। কর্মহীন এসব জনগোষ্ঠির রয়েছে বিভিন্ন এন.জি.ও প্রতিষ্ঠানের ঋণের বোঝা। ২-৩ মাস যাবৎ কর্মোজীবি মানুষেরা কর্মহীন হয়ে বসে আছে, যেখানে সরকারের দেওয়া সাহায্যে দুমুঠো ভাত জুটছে তাদের পরিবারের মুখে। তার মধ্যো যদি পাওনাদারের চিঠি ঘরে আসে তবে তারা কি করে বাঁচবে। সরকার যেমন এই করোনার জন্য সকল সমিতির কিস্তি আদায় বন্ধো করে দিয়েছেন ঠিক তেমনি যদি এই বিপদের মধ্যো হালখাতা সাময়িক ভাবে লকডাউন করতেন তবে তারা চিন্তা মুক্ত হতেন।