মাবিয়া রহমান,মনিরামপুর প্রতিনিধিঃ সম্প্রতি মনিরামপুরে স্থানীয় সরকার পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য এমপি (৮৯যশোর-৫)এর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কিছু অপরিচিত আইডি দিয়ে বিভিন্ন মিথ্যা অপপ্রচার করছে।এটা সমপূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট গল্প বলে মনে করেন মনিরামপুর উপজেলা কৃষকপার্টির সভাপতি মোঃতবিবার রহমান।তিনি বলেন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে যেসব কথা উঠেছে তা “আমি বিশ্বাস করি না”।
তার কিছু কথা,
“২০১১ সালের ঘটনা”
স্বপন বাবু ছিলেন তখন উপজেলা চেয়ারম্যান।আমি তখন মনিরামপুর কৃষক কল্যান সমিতির সভাপতি, ও ০১ নং রোহিতা ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি।তখনকার উপজেলা নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী এম এ হালিম থাকায় আমি এমপি সাহেবের নির্বাচিত করতে পারিনি।ফলে আমার ওয়ার্ডে তিনি ফেল করেন।তিনি নির্বাচনে জয়লাভ করার পর তার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও সমস্যার কথা আলোচনা করতে আমি ও আমার বড় ভাই কামরুজ্জামান তার অফিসে যায়। কামরুজ্জামান ভাই বলে, দাদা তবিবারকে তো মামলা করে শেষ করে দিল।মন্ত্রী জবাব দেয় “ঠিক আছে”!,আমাকে ওর ওয়ার্ডে ফেল করিয়েছে।আমি লজ্জা পায়।কিন্তু নাস্তা করার পর মন্ত্রী বলেন কি সমস্যা বল তবিবার?সমস্যার কথা খুলে বলি।তিনি বলেন কাল সকাল ০৮ঃ০০ টায় আমার বাসায় আসবি।তিনি আমাকে নিয়ে ১০ঃ০০ টায় আমার পারিবারিক একটা জমির মিমাংসার কাজে আমাকে তার যশোর বাসা থেকে রিকশা করে ডিসি অফিসে নিয়ে যায়। রিকশা থেকে নামার পর আমি আমার পকেট থেকে রিকশা ভাড়ার টাকাটা বের করে দেওয়ার চেস্টা করি।তখন বর্তমান মন্ত্রী মহাদয় বলেন টাকা বেশী হয়ে গেছে,, তারপর ডিসি সাহেবের সাথে আলোচনা শেষে তিনি ডিসি সাহেব কে বলেন এটি আমার পার্সোনাল বিষয় সেভাবে দেখবেন। তখন আমি ভেবেছিলাম মনিরামপুর কিছু পেতে যাচ্ছে। ঠিক কথাটা ও সত্য হলো।
বর্তমান সাধারন জনগনের কোন কাজেও তিনি অবহেলা করেন না।আমি বিরোধী দলের নেতা হয়েও এখনো কোন কাজের অবহেলা তার কাছ থেকে পায় নি। অবহেলিত ও বন্চিত মনিরামপুর বাসি বর্তমানে যে আলোর দিক রেখা পেতে চলেছিলো সেটা কে দাবিয়ে রাখার জন্য একদল কুচক্রী এমন গুজব ছড়াচ্ছে বলে মনে করি।
আমি বিশ্বাস করি তিনি এমন ঘৃনিত কাজ কখনোই করতে পারেন না।
“তিনি আসোলেই মনিরামপুরের চাঁদ”
কৃতজ্ঞতায়ঃ
মোঃতবিবার রহমান
সভাপতিঃ বাংলাদেশ কৃষক পার্টি
মনিরামপুর উপজেলা শাখা।
ও কৃষি সেচযন্ত্র মালিক ও জনকল্যাণ সমিতি।
বি,দ্রঃজনসাধারনের কথার বিবেচনায় লেখাটি।