আবু সাঈদ হেলাল,যবিপ্রবি প্রতিনিধি..গোটাবিশ্ব আজ পরিবেশ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। কারণ সুন্দর, দূষণমুক্ত পরিবেশ বিশ্বে প্রতিটি মানুষেরই কাম্য।পরিবেশের কল্যানে একটি ভিন্নধর্মী সংগঠন যশোরের “টিম হিরন্য”। মূলত যশোরেরই স্হানীয় কিছু শিক্ষার্থী যারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত আছে তাদের উদ্যোগে গড়ে ওঠে এই সংগঠনটি।২০১৮ সালের ৯ ই জুন থেকে এই সংগঠনটির পথচলা শুরু। শুরু থেকেই পরিবেশ রক্ষার্থে বিভিন্ন সচেতনমূলক ও মানবকল্যানমূলক কাজ করে আসছে সংগঠনটি। সংগঠনটির উল্লেখযোগ্য মূল লক্ষ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে
১)পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণরোধে সচেতনতা সৃষ্টি করা।
২)অসহায় পথশিশুদের পাশে দাড়ানো।
৩)সুবিধাবিমুখ মানুষের সাথে নিজের আনন্দ ভাগাভাগি করা।
৪)বিনোদনমূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফুটানো।
ইতিমধ্যে টিম হিরন্যের নেতৃত্বে সম্পন্ন হয়েছে বিভিন্ন কর্মসূচি যেমন, যশোর শহরের দড়টানা,শিল্পকলা,মাইকপট্টি,রেলস্টেশনসহ বিভিন্ন জায়গায় জনসাধারণের মাঝে বায়ু দূষণ রোধে সচেতনতা সৃষ্টি, মাস্ক ব্যাবহারে উৎসাহিত করা, লিফলেট এর মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ রোধে সচেতনতা সৃষ্টি এবং শহরের বিভিন্ন স্হানে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি ও ডাস্টবিন বিতরণ করা। এছাড়া সংগঠনটি সামাজিক সেচ্ছাসেবীমূলক কাজ এবং ভিন্নধর্মী কিছু কাজও করে থাকে।পথশিশুদের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি,বিনোদনমূলক টুর্নামেন্ট যেমন বিশ্বকাপ ফুটবলের সময় পথশিশুদের মাঝে জার্সি বিতরন,যশোর সদর উপজেলার একটি বৃদ্ধাশ্রমে বৃদ্ধাদের মাঝে নতুন পোশাক বিতরন,তাদের সাথে আবসরে কিছু সময় অতিবাহিত করা এছাড়া নববর্ষে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষের মাঝে নতুন উপহার বিতরন এদের উল্লেখযোগ্য কাজ।বর্তমানে সংগঠনটির সভাপতি হিসাবে দায়িত্বরত আছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের ছাত্র ‘আজহার উদ্দীন গাজী’।এছাড়া সহ-সভাপতি হিসেবে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগের ছাত্র ‘মুহায়মিনুল হক’ দায়িত্বরত আছেন। যেহেতু সংগঠনের সবাই শিক্ষার্থী তাই বড় কোন আর্থিক তহবিল না থাকলেও সবাই নিজেদের হাতখরচের টাকা বাচিয়ে কিছু অংশ ব্যায় করে এই সংগঠনের কর্মকাণ্ডের উদ্দেশ্যে।
ভবিষ্যতে বিভিন্ন দূর্যোগ মোকাবেলায় এগিয়ে আসা ও ক্ষতিগ্রস্হ মানুষের পাশে দাড়ানোর পরিকল্পনা আছে সংগঠনটির।
“সবাই মিলে সবার জন্য” স্লোগানে এগিয়ে যাওয়া সংগঠনটি মনে করে ‘যদি আপনি আপনার আশেপাশের পরিবেশকে দেখাশোনা করেন তাহলে পরিবেশও আপনাকে ঠিকই দেখাশোনা করবে’।এই তরুনেরা স্বপ্ন দেখে আমরা নিজেদের জায়গা থেকে সচেতন থাকলে এবং মানবিক থাকলে একদিন আমরা সুস্থ, নিরাপদ পৃথিবী পাবো।