আজিজুর রহমানঃ কেশবপুর উপজেলায় বাজারে বাজারে উঠেছে কচি তালশাঁস বা চোখ। গরমে তৃষ্ণা মেটানোর জন্য ক্রেতাদের কাছে তালশাঁসের কদর অনেক বেশি।আর পাড়া-মহল্লার ফল বিক্রেতাদের কাছে মিলছে রসালো কচি তালশাঁস।
ব্যবসায়ী আলম গাজী বলেন গরমে তৃষ্ণা মেটানোর জন্য ডাবের পানির পাশাপাশি ক্রেতাদের কাছে ভেজালমুক্ত তালশাঁসের কদর অনেক বেশি।ফুটপাতের উপর তীক্ষ্ণধার যুক্ত দায়ের আঘাতে শক্ত খোলস থেকে সরস তালশাঁস বা চোখ বের করে আনে তালশাঁস কেবল স্বাদে ভালো না, মানব শরীরের জন্যও এটা অনেক উপকারী। বছরের প্রথম ফল উঠেছে, তাই দাম একটু বেশি।বিক্রেতা। একটা তালে সাধারণত তিনটি করে শাঁস থাকে যা প্রতি পিস ৫ থেকে ১০ টাকা বিক্রয় করে বলে জানাই ওই ব্যবসায়ী।শহরের আর এক বিক্রেতা আবু তালেব বলেন গরমের সময় ডাবের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তালশাঁস বিক্রি হয়। কিন্তু এখন তাল গাছ কম থাকায় ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ করতে পারছি না।করোনার ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এ সরকার ঘোষিত বিধি নিষেধ মেনে চারটার পর ক্রেতাদের উপস্থিতি কম থাকায় তাল বেশি ক্রয় করতে পারছি না।সরকারের কৃষি তথ্য সার্ভিসের ওয়েবসাইটে তালকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ অপ্রচলিত ফল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ওয়েবসাইটে তালশাঁসের অনেক পুষ্টিগুনে কথা বলা হয়েছে।আবার পুষ্টিবিদরা বলছেন, তালশাঁসের বেশির ভাগ অংশ জলীয় থাকে।ফলে দ্রুত শরীর শীতল করার পাশাপাশি আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে শরীর দ্রুত পানি হারালে তা পূরণ করতে পারে। এ ছাড়া তালশাঁস শরীরের কোষের ক্ষয় প্রতিরোধ করে । ফলে সারা দিন ক্লান্তের পর অনেককেই পথের পাশে তালশাঁস বিক্রেতার কাছে ভিড় জমাতে দেখা যাই।