শেখ ইয়াসির আরাফাত
আশাশুনি উপজেলার উত্তর চাপড়ায় আপন মায়ের বসত ভিটায় ঘেরাবেড়া দিয়ে জবর দখল ও ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে আদালতে মামলা দায়েরের পর নিষেধাজ্ঞা ও মিমাংসার শর্তে জামিন পেয়েও পুনরায় জবর দখল ও হুমকী ধামকীর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মামলার আরজি, বাদী হাসানুর রহমান ও মা আছিয়া খাতুন জানান, আছিয়ার স্বামীর মোট ১৮ বিঘা জমি রেখে ইন্তেকাল করেন। স্বামী ইন্তেকালের পূর্বে হারাহারি মতে সকলের মাঝে সম্পত্তি ভাগবাটোয়ারা করে যান। স্ত্রীকে বসতভিটা ও ঘরবাড়ি দিয়ে যান। সেখানে স্ত্রী একাই বসবাস করে আসছেন। স্বামীর মৃত্যুর পর সবাই এক সাথে বসে স্ত্রী, ২ পুত্র ও ৩ কন্যার মাঝে সর্ব সম্মতিতে ভিটেবাড়ির সাড়ে ৩ বিঘা জমির মধ্যে মা দেড় বিঘা ও এক বোনকে ২ বিঘা প্রদান করা হয়। মাকে বিলান ১০ কাঠা দেয়া হয়। বড় পুত্র মিজানুরকে বিলান (একই প্লটে মৎস্য ঘের) ৫ বিঘা, অন্য দুই বোনকে ৪ বিঘা ও ছোট ভাই হাসানকে ৫ বিঘা দেয়া হয়। সেই থেকে মা আছিয়া স্বামীর রেখে যাওয়া ঘরে বসবাস করে আসছেন। গত ২৫ জানুয়ারী হঠাৎ করে বড় পুত্র মিজানুর সহযোগিদের নিয়ে ঘরবাড়ি, হাঁস মুরগি ও ছাগলের কোটা, রান্না ঘর ভাংচুর করে ও ঘরের সামনে দিয়ে ঘেরা দিয়ে জবর দখল করে নেয়। মা ২৮/১/২৫ তাং বিজ্ঞ আমলী আদালত ০৮ সাতক্ষীরায় মামলা দায়ের করলে মিমাংসার শর্তে আসামীদের জামিন মঞ্জুর করা হয়। কিন্তু আসামীরা মীমাংসা না করে পুনরায় ঘেরা বেড়া দেয়া, ভাংচুর ও গাছ গাছালী রোপন করতে থাকে। বাধ্য হয়ে ছোট ছেলে হাসানুর বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ ২য় আদালত সাতক্ষীরায় দেং ৫৩/২৫ মামলা করেন। বিজ্ঞ আদালত কেন অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেওয়া হবেনা নোটিশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে কারন দর্শানোর নির্দেশ প্রদান করেন। বাদী জানান, এতকিছুর পরও আসামীরা জবাব না দিয়ে জবর দখল, ভাংচুর, নতুন গাছ লাগানোসহ মাকে হুমকী ধামকী ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে যাচ্ছে।
মা আছিয়া খাতুন জানান, আমার স্বামী জীবিত অবস্থায় ভিটেবাড়িতে আমাকে থাকতে সিদ্ধান্ত দেন এবং আমি সেখানেই আছি। কিন্তু আমার বড় ছেলে তার ভাগ বিলান জমি বুঝিয়ে দেওয়ার পরও ভিটেবাড়িতে ঘেরাবেড়া দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দিচ্ছে। ভাংচুর করে ক্ষয়ক্ষতি করছে। গাছ লাগাচ্ছে। আমি এর প্রতিকার চাই।