আব্দুল খালেক,কেশবপুর(যশোর)
কেশবপুর উপজেলার দোরমুঠিয়া গ্রামের হাসেম আলীর স্ত্রী সালমা খাতুনের পরকীয়া কারণে ২৫ বছরের সাজানো সুন্দর সংসার ভেঙ্গেগেলো হাসেম আলীর। সামাজিক কারণে স্ত্রীকে তালাক দিতে হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে কেশবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের দোরমুঠিয়া গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে জানাগেছে গ্রামের সেকেন্দার আলী মোড়লের পুত্র মোঃ হাসেম আলী (৪৭) ইসলামী শরিয়ত মতে গত ২০০০ সালে পার্শবর্তী জাহানপুর গ্রামের আবুল কাশেম গাজীর মেয়ে সালমা খাতুন (৪০) এর বিয়ে হয়। হাসেম আলী দোরমুঠিয়া গ্রামে একজন চা-পানের ব্যবসায়ী হয়ে স্ত্রী সন্তান দেরকে নিয়ে তার দাম্পত্য জীবনটাকে খুব সুন্দর করে সাজিয়ে ছিলো। সুন্দর দাম্পত্য জীবনে পুত্র আবু তাহের (২০), তাজিমুল হক (১৫) ও সাবিনা খাতুন (১৮) নামে এক কন্যা সন্তান রয়েছে। এর মধ্যে মেয়ে সাবিনা খাতুন বিবাহিত ও পুত্র আবু তাহের মালয়েশিয়ায় প্রবাসী। তাদের এই সুন্দর সংসারে প্রতিবেশী হিসাবে অবাদে যাতায়াত করতে থাকে দোরমুঠিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী ও গ্রামের আব্দুস সোবহান মোড়লের পুত্র রেজওয়ান হোসেন (৪৭) এর। রেজওয়ান হোসেনের আছে একটি পুত্র সন্তান আল আমিন (১৮), দুই কন্যা সুমাইয়া খাতুন (১১) ও রুকাইয়া খাতুন (৫)। এলাকার প্রতিবেশীরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন হাসেম আলীর পরিবারের সাথে রেজওয়ান হোসেনের অবাদ যাতায়াতের ফলে তার সাথে গভীর স্বক্ষতা গড়ে উঠে হাসেম আলীর স্ত্রী সালমা খাতুনের সাথে। ইতিমধ্যে তারা দুই জন পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। শুরু হয়ে যায় তাদের অবাদ মেলামেশা ও শারীরিক সম্পর্ক। সমাজিক ভাবে প্রতিবেশীরা তাদের অবৈধ সম্পর্ক নিয়ে সমালোচনা করতে থাকে। তাদের সম্পর্ক নিয়ে সমালোচনার মুখে হাসেম আলী খুব অসহায় হয়ে পড়ে। সামাজিক ভাবে প্রতিবেশীরা তাকে বয়কট করতে শুরু করে। এবিষয়ে স্বামী হাসেম আলী দৈনিক প্রতিদিনের কন্ঠকে বলেন দোরমুঠিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী রেজওয়ান আলী মোড়ল আমার ২৫ বছরের সুন্দর সাজানো সংসার নষ্ট করে দিয়েছে। তাদের পরকীয়ার কারণে সামাজিক ভাবে সে খুব বঞ্চনার শীকর হয়। সামাজ তাকে বয়কট করতে শুরু করে। অবশেষে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি তার স্ত্রী সালমা খাতুনকে সে তালাক দিয়ে দিয়েছে। শেষ হয়ে গেছে তার ২৫ বছরের সুন্দর সাজানো সংসার। এবিষয়ে রেজওয়ান আলী মোড়লের স্ত্রী নাজমা বেগম, মা সুফিয়া বেগম, ও ভাবি সালমা খাতুন দৈনিক প্রতিদিনের কন্ঠকে বলেন তার বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। দোরমুঠিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী নিয়োগ বানিজ্যকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসী এই মিথ্যা বানোয়াট গুজব ছড়িয়ে দিয়েছে। এবিষয়ে রেজওয়ান আলী মোড়ল দৈনিক প্রতিদিনের কন্ঠকে বলেন তার সাথে হাসেম আলীর স্ত্রী সালমা বেগমের কোনো সম্পর্ক নেই। বালিকা বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী হিসাবে নিয়োগ দেওয়ার পরে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে। এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ কামাল হোসেন দৈনিক প্রতিদিনের কন্ঠকে বলেন গ্রামের বালিকা বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী রেজওয়ান আলী ও গৃহবধু সালমা বেগমের অবৈধ সম্পর্ক নিয়ে এলাকায় খুব বাজে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিলো। যার কারণে স্থানীয় ভাবে সালিশ করে হাসেম আলী মোড়ল তার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দিয়েছে।