⬛ শহিদুল ইসলামের খুটির জোর কোথায়
⬛ নিয়মনীতির করেনি কোন তোয়াক্কা
⬛ চার বছরে শতকোটি টাকা আত্মসাৎ
⬛ গড়েছেন অঢেল সম্পদের পাহাড়
⬛ বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অফিসে দাম্ভিকতা
⬛ অজুহাত খাড়া করে কৌশল অবলম্বনমোঃ ইব্রাহিম খলিল,সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলামের বদলি আদেশ হওয়া সত্বেও একই কর্মস্থলে বহাল তবিয়তে থাকার অভিযোগ উঠেছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ১৭ ফেব্রুয়ারি উপসচিব আশফিকুন নাহার সাক্ষরিত ৪৬.০০.০০০০.০৮৩.১৯.০০১.২২.১০৩ নং স্মারকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় স্থানীয় সরকার বিভাগ, পানি সরবরাহ শাখা -০১ থেকে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে সাতক্ষীরা জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শহিদুল ইসলাম কে কুষ্টিয়া জেলায় বদলি করা হয়। অভিযোগ আছে, সাতক্ষীরায় সুপেয় পানি প্রকল্পের নামে শহিদুল ইসলাম ৪ বছরে শতকোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। শহিদুল ইসলাম নামে বেনামে গড়েছেন অঢেল সম্পদের পাহাড়। যশোর জেলার নিউমার্কেট সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে ৫ তলা বিশিষ্ট আলিশান বাড়ি। যশোরের আবাসিক এলাকায় শহিদুল ইসলামের রয়েছে ৮/১০ টি জমির প্লট। এছাড়া গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানিতে রয়েছে বিলাসবহুল বাড়ি, দামী গাড়ি সহ অঢেল সম্পদ। নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলামকে অন্যাত্রে বদলির আদেশ হলেও বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সাতক্ষীরা জেলা অফিসে রয়েছে এখনো দাম্ভিকতার সাথে। জানা গেছে, শহিদুল ইসলাম ছুটির দিনে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সাতক্ষীরা অফিসে বসে বদলি আদেশর নথিপত্র গায়েব করেছেন। গোপালগঞ্জে বাড়ি হওয়ার সুবাদে শহিদুল ইসলাম কোন নিয়মনীতিরই তোয়াক্কা করেনা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ তুলে বলেন, শহিদুল ইসলাম ২০২১ সালের মে মাসে যোগদানের পর থেকে সাতক্ষীরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর দূর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। সে কারণে শহিদুল ইসলামের এসব অপকর্ম ও দূর্নীতির দায়ে কুষ্টিয়া জেলায় বদলির আদেশ হয়। বদলি আদেশের পরেও তিনি বিভিন্ন অজুহাত খাড়া, নানা তাল-বাহানা সহ বিভিন্ন অপকৌশল অবলম্বন করে সে এখনো অবলীলায় রয়েছে সাতক্ষীরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অফিসে। এর কারণ হিসেবে তারা বলেন, শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনিত সব অভিযোগের প্রমাণাদি, বদলি আদেশের নথি যাতে অফিসে অবস্থান করে যেন তিনি খুব সহজেই অন্যাত্রে সরাতে পারেন। তারা বলেন, বদলি আদেশ হওয়া সত্বেও শহিদুল ইসলাম এখনো একই কর্মস্থলে আছেন, তার খুটির জোর কোথায়? শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রায় দুইশ কোটি টাকার টেন্ডার নয়-ছয় করার অভিযোগ ও নানা অনিয়ম-দুর্নীতির সংবাদ বিভিন্ন পত্রিকায় ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। এদিকে শহিদুল ইসলাম এর সীমাহীন দূর্নীতির কারণে সাতক্ষীরা জেলায় ব্যপক আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় তুলেছে।