নিজস্ব প্রতিবেদক,যশোর
যশোর-খুলনা সড়কের বায়তুল নূর জামে মসজিদ তৈরির টাকায় নয় ছয়ের অভিযোগ উঠেছে জমির মালিক আব্দুর রাজ্জাক ও মসজিদের সভাপতি শওকত আলী চুন্নুর বিরুদ্ধে। সম্প্রতি খবরটি ‘রামনগর আমাদের ইউনিয়ন’ একটি ফেসবুক আইডি থেকে প্রচার হলে নিজেদের নির্দোশ দাবি করে বিভিন্ন মহলে দৌড় ঝাঁপ শুরু করেছে মসজিদের জমিদাতা ও মসজিদের সভাপতির পক্ষের একটি চক্র। নিজেদের নির্দোষ দাবি করে উল্টে ওই ফেসবুক আইডির বিরুদ্ধে তারা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সূত্র জানায়, খুলনায় বাসিন্দা শেখ আকবর আলী নামে একটি ব্যক্তি যশোর-খুলনা সড়কের রামনগর মায়া পেট্রল পাম্পের পাশে একটি ভবনে একা বসবাস করেন। পাম্পের পিছনে স্থানীয় এক ব্যক্তি একটি জমি দান করেছেন মসজিদ নির্মাণের জন্য। তার মৃত্যুর পর তার ছেলে আব্দুর রাজ্জাক কাজের দেখভাল করছেন। আর এই মসজিদ নির্মাণের জন্য ৩০ লাখ টাকা দান করছেন আকবর আলী নামে ওই ব্যক্তি। এছাড়াও স্থানীয়রদের কাছ থেকে টাকা উত্তোরণ করা হয়েছে মসজিদ উন্নয়নের জন্য। কিন্তু এতো টাকার নির্মিত মসজিদ থেকে কোনো ভাবেই বোঝার উপায় নেই এটি নির্মাণে এতো টাকা ব্যয় হতে পারে। সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায়, একতলা একটি মসজিদ দাঁড়িয়ে আছে রাস্তার পাশে। যেটি একটি একতলা ভবন। এখনো নির্মাণ শেষ কাজ হয়নি। তবে তাতেই ব্যায় দেখানো হয়েছে ৩০ লাখ টাকা। উল্টে কমিটি দাবি করছে তাদের কাছ থেকে আরও ৩৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। উল্টে কমিটি মসজিদের কাছে টাকা পাবে। যা হাস্যকর। এ বিষয়ে স্থানীয় একাধিক দোকানী জানায়, মসজিদের অবকাঠামো দেখে বোঝা যাচ্ছে এখানে ১৫ লাখ টাকার উপরে খরচ হয়নি। এছাড়া মসজিদের কাজের হিসাব নিয়ে তালবাহানা করছে সভাপতি শওকত আলী চুন্নু। হিসাব চাওয়ার জন্য সাম্প্রতি স্থানিয়দের নিয়ে একটা মিটিং ডাকা হয়। মিটিংএ জমির বর্তমান মালিকসহ স্থানীয়রা উপস্থিত থাকলেও সভাপতি উপস্তিত না থাকায় মিটিং পন্ড হয়ে যায়। এদিকে, সভাপতি সাবমারসিবল পাম্প বসানোর জন্য ২লাখ টাকা হজম করে দিয়ে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া সভাপতির বিরুদ্ধে স্থানীয় ওয়াজ মাহফিল করার নামে টাকা উঠিয়ে হজম করাও একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীরা জানায়, দীর্গদিন ধরে মসজিদের সভাপতি হিসাব না দিয়ে তালহানা করছে। আমরা আগামি শুক্রবার আবার মিটিং ডেকেছি। মিটিংএ পুরাতন কমিটি বাদ দিয়ে নতুন কমিটি তৈরি করা হবে। জমিদাতা সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমরা যেহেতু কোটি টাকার জমি দান করতে পেরেছি তাহলে মসজিদের তৈরির টাকা কেন মেরে খাবো। মসজিদের সভাপতি শওকত আলী চুন্নু কে একাধিকবার মুঠোফোনে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। মসজিদ তৈরিতে ৩০ লাখ টাকা দেওয়া শেখ আকবর আলী বলেন, আমি নিজ হাতে সকল টাকা খরচ করেছি। উন্নয়নের টাকা মেরে খেয়েছি কিনা জানতে চাইলে তিনি বলতে রাজি হয়না। তবে তিনি বলেন, মেরে খেতে পারে তবে সেটা আমি সঠিক বলতে পারবোনা।