তাজাম্মূল হুসাইন
দীর্ঘদিন পর যশোরের মণিরামপুর উপজেলা বিএনপির আংশিক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে অ্যাড. শহীদ ইকবাল হোসেনকে সভাপতি ও আসাদুজ্জামান মিন্টুকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুর স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।কমিটিতে সিনিয়র সহসভাপতি হয়েছেন মো. মফিজুর রহমান, সহসভাপতি জি এম মিজানুর রহমান, অ্যাড. মকবুল হোসেন, অ্যাড. মুজিবর রহমান, অধ্যক্ষ গাজী সাত্তার, মতলেব হোসেন। এ ছাড়াও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সামছুজ্জামান শান্ত, নাজমুল হক লিটন ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, খান শফিয়ার রহমান এবং কোষাধ্যক্ষ হয়েছেন রবিউল ইসলাম। এদিকে মণিরামপুর উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান মিন্টুকে সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় দলের একাংশের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা ব্যাপকভাবে উজ্জীবিত, উৎফুল্ল ও উচ্ছ্বসিত হয়েছে। উল্লেখ্য, আসাদুজ্জামান মিন্টু আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের রক্তচক্ষু, হামলা, মামলা উপেক্ষা করে হাসিনা হটাও আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে ছিলেন। দীর্ঘ দেড় দশক আওয়ামী লীগের শাসনামলে তিনি একাধিক মামলায় জর্জরিত ছিলেন এবং জেল হাজতে কারাবরণও করতে হয়েছিল তাকে। একারণে দল আসাদুজ্জামান মিন্টুকে মূল্যায়ন করেছে বলে দলীয় নেতাকর্মীদের ধারণা। এ বিষয়ে আসাদুজ্জামান মিন্টু বলেন, বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় নিজেকে ধন্য মনে করছি। আমার প্রাণপ্রিয় নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশ নায়ক তারেক রহমান ও খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ দলের সব নেতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে বিএনপির যেকোনো নির্দেশনা বাস্তবায়নে অতীতে যেভাবে মাঠে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকবো, ইনশাল্লাহ। এদিকে, মণিরামপুর উপজেলা বিএনপিসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ আসাদুজ্জামান মিন্টুকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।