দেলোয়ার হোসেন,কলারোয়া(সাতক্ষীরা)
পথভ্রষ্ট সাদপন্থীদের বর্বরোচিত হামলায় টঙ্গী ইজতেমা-মাঠে তাবলীগের সাথীগণ নিহত ও আহত হওয়ার প্রতিবাদে সাতক্ষীরা কলারোয়ায় উলামা পরিষদের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।রবিবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা ওলামা পরিষদ কলারোয়া শাখার আয়োজনে উপজেলা প্রেস ক্লাবের সামনে যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত মুসল্লিরা ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘সাদিয়ানীর আস্তানা, এই বাংলায় চলবে ন’, ‘কাদিয়ানী গেছে যেই পথে, সাদিয়ানী যাবে সেই পথে’, ‘খুনি কখনো দ্বীনের দ্বায়ী হতে পারে না’, ‘যে হাত অস্ত্র ধরে, সে হাত ভেঙে দাও’, ‘ঠাঁই নাইরে ঠাঁই নাই, এতায়াতিদের ঠাঁই নাই’, ‘সাদপন্থীদের হটাও, দ্বীন বাঁচাও’, ‘তাবলীগের নামে সাদিয়ানী ফেতনা বন্ধ কর, করতে হবে’, এই স্লোগান দিতে থাকেন। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে গভীর রাতে উগ্র সন্ত্রাসী সাদপন্থিদের অতর্কিত ও বর্বরোচিত হামলায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আমাদের আরও শতাধিক সাথী। হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও সাদপন্থিদের নিষিদ্ধ করতে হবে। কারণ স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতেই সাদপন্থিদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়েছিল। এটা আর হতে দেওয়া হবে না। যারা ইসলামের কটূক্তি করে তারা আওয়ামী লীগের দালাল। তারা জানান, ভারতের এজেন্ডা সাদপন্থিরা ইচ্ছেকৃতভাবে গোলজোগ সৃষ্টি করেছে। টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমা ময়দান যেখানে মুসল্লিরা আল্লাহর দরবারে ফরিয়াত করেন। সেখানে সংর্ঘষ বাঁধিয়ে হতাহতের ঘটনায় লিপ্ত হয়েছেন। যা কোনো ভাবেই কাম্য নয়। তাই সারা দেশের মুসল্লিরা আজ একত্র হয়ে প্রতিবাদে নেমেছে। যারা এই ঘৃণা কাজের সাথে জড়িত। অবিলম্বে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় আরও কঠোর কর্মসূচি প্রদান করা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন কলারোয়া ওলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা শহিদুল ইসলাম, মুফতি ইমরান হোসাইন, মাও ওসমান গনি, মাওআব্দুল রকিব হোসাইন, মাও ইসমাইল হোসাইন, মাও ওমর ফারুক, মাও খাইরুল ইসলাম, ক্বারী ইসলাম হোসেন প্রমুখ। সর্বশেষে নিহত-আহতদের প্রতি সুস্থতা মঙ্গল কামনা করে মুফতি হাফিজুর রহমানের পরিচালনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।