নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর সরকারি মহিলা কলেজে হচ্ছে টা কি ? সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে চিল্লাচিল্লি। কতিপয় শিক্ষক বহিরাগতদের কলেণজে এসে চালায় অসামাজিক কার্যকলাপ। ফলে হোস্টেলে থাকা ছাত্রীদের পড়াশুনায় বিঘ্ন ঘটে। কলেজের নাইট গার্ডের সহযোগিতায় এসব অসামাজিক কার্যকলা চলছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রতিদিন বিকালে কলেজ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর সন্ধ্যা হলে নাইট গার্ডের সহযোগিতায় কতিপয় শিক্ষক কলেজে প্রবেশ করে। তাদের সাথে বহিরাগতরাও কলেজে আসে। এরপর শুরু হয় অসাজিক কার্যকলাপ। মদ-গাঁজার আড্ডা বসে। তারপর শুরু হয় চিল্লাচিল্লি। তাদের চিল্লাচিল্লিতে স্থানীয় বাসা-বাড়ির লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। কেউ প্রতিবাদ করলে উল্টো হুমকি দেয়া হয়। সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়। ফলে স্থানীয় বাসিন্দারা কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। দুশ্চিত্র শিক্ষকদের জন্য কলেজের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রী বলেন, শিক্ষক ও বহিরাগতদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে কলেজ হোস্টেলে থাকা শিক্ষার্থীরা। শিক্ষকদের সাথে বহিরাগতরা ছাত্রীদের বিভিন্নভাবে হুমকি ধাককি দেয়। ভয়ে শিক্ষার্থীরা কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। আমরা ভয়ে থাকি সব সময়। তিনি আরো বলেন, এই কলেজের শিক্ষকরা যেভাবে ছাত্রীদের সাথে ব্যবহার করে তা তারা নিজ বাড়িতে স্ত্রীর সাথেও সেভাবে ব্যবহার করে না। তাদের ব্যবহার এত জঘন্য যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না। আরো এক ছাত্রী জানায়, উচ্ছৃঙ্খলা যুবক শিক্ষকরা কলেজের হোস্টেলে থাকা শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা বিঘ্ন সৃষ্টি করছে। তাদের কারণে এখানে পড়াশুনার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এখানে বসবাসকারী ছাত্রীরা পড়াশুনা করতে আসে। তাদের কারণে ছাত্রীদের পড়াশুনা হচ্ছে না। এই ছাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শিক্ষকরাই ছাত্রীদের সাথে ইভটিজিং করে। তাহলে বাইরের মানুষ কেন আমাদের সাথে ইভটিজিং করবে না। রাতের বেলায় শিক্ষকরা জঘন্য পশু হয়ে যায়। কিন্তু আমারা এসব কথা কারো কাছে বলতে পারি না। আমাদের লেখাপড়ার জন্য সব কিছু মুখ বুঝে সহ্য করি। শিক্ষকদের আচার ব্যবহার যদি পরিবর্তন না হয় তাহলে কলেজের দু:খ আছে। স্থানীয় এক বাড়ির ভাড়াটিয়া শফিকুল আলম বলেন, এখানে যেভাবে চেচামেচি হয় তা কোন মাতালরাও করে না। মাতালদের একটা লিমিট থাকে। কিন্তু শিক্ষক নামে এসব অভদ্রদের কোন লিমিট নেই। শিক্ষক নামে এক দল কলঙ্ক জুটেছে যশোর মহিলা কলেজে। এসব শিক্ষকদের রাতে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে সাজার ব্যবস্থা করা উচিত। নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক শিক্ষক বলেন, স্যাররা বাড়িতে বিনোদন উপভোগ করতে পারে না। এজন্য কলেজে আসে ছাত্রীদের সাথে বিনোদন উপভোগ করতে। কলেজের কয়েকজন শিক্ষককের জন্য পড়াশুনার পরিবেশ অনেক আগেই নষ্ট হয়ে গেছে। অধ্যক্ষ স্যার ঠিকমত কোন বিষয় খোজখবর রাখেন না। এ কারণেই কয়েকজন শিক্ষক কলেজের লেখাপাড়াসহ শৃঙ্খলা নষ্ট করছে। এেেত করে কলেজের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, বিকালের পর কলেজে শিক্ষকদের কোন কাজ থাকে না। তারা কেউ সন্ধ্যায় কলেজে আসবে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে খলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর নাজমুল হাসান ফারুক বলেন, রাতে কি হয় আমার জানা নেই। আমি বিষয়টি খোঁজখবর নেব। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।